বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু,স্বামী-শ্বশুর ধৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
এক গৃহবধূকে খুন করে বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ওই বধূর শ্বশুর এবং স্বামী। মৃত মহিলার নাম নমিতা সাহা (২৬)। ঘটনাটি ঘটেছে গত কাল পশ্চিম ত্রিপুরার জিরানিয়ায়। পড়শিদের অনেকেরই অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে নমিতার উপরে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন চালানো হত। স্বামী প্রদীর সাহা মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরলে ‘পারিবারিক অশান্তি’ আরও বাড়ত।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, কাল নমিতার ভাই সুমন সাহার কাছে খবর যায় যে নমিতাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সুমন জিরানিয়ায় বোনের শ্বশুরবাড়িতে গেলে তাঁকে বলা হয় নমিতাকে পুকুরের জল থেকে ‘উদ্ধার’ করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতাল গিয়ে তিনি জানতে পারেন, বোনের ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’ হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আগরতলার জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ, পুরো ব্যপারটাই নমিতার বাপের বাড়ির লোকজনকে অন্ধকারে রেখে করা হয়েছিল। নমিতার বাবা নিত্যানন্দ সাহা তাঁর মেয়েকে ‘খুন করা হয়েছে’ বলে জিরানিয়া থানায় মেয়ের শ্বশুর রমেন্দ্রনন্দন সাহা এবং স্বামী প্রদীপ সাহার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ নমিতার স্বামী প্রদীপ সাহাকে গ্রেফতার করে।
এ দিকে, নমিতার মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা দুপুরে জিবি হাসপাতালে ভিড় জমান। সেখানে উত্তেজিত জনতা নমিতার শ্বশুর রমেন্দ্রনন্দন সাহাকে দেখতে পেয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ভয়ে রমেন্দ্রনন্দন মর্গের মধ্যেই ঢুকে পড়েন। উত্তেজিত জনতা তখন মর্গে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে নামানো হয় টিএসআর জওয়ান সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে রমেন্দ্রনন্দনকেও জিবি হাসপাতাল চত্বর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ আজ তাঁদের আদালতে হাজির করলে বিচারক অভিযুক্ত দু’জনকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |