দুবরাজপুরের তরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দাখিল করার শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। তাঁদের সমর্থিত প্রার্থীরা ছাড়া আর কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হয়েছে দাবি তৃণমূলের। যদিও সিপিএমের দাবি, তাঁদের সমর্থিত প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন জমা করতে দেয়নি তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরেশচন্দ্র সৌ বলেন, “মোট ছয়টি আসনের জন্য ৬ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৩ সাল থেকে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন শুরু হয়েছে ওই স্কুলে। ২০০৩ ও ২০০৬-এ পরিচালন সমিতির দায়িত্ব পেয়েছিল সিপিএম। ২০০৯ ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তাই এ বার ওই স্কুল নির্বাচনকে ঘিরে দু’পক্ষের চাপান-উতোর ছিল। গণ্ডগোল হতে পারে ধরে নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্কুল ও আসপাশ এলাকার দখল নেয় পুলিশ। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অরুণ মিত্রের দাবি, “আমাদের সমর্থিত প্রর্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তৃণমূলের লোকেরা তাঁদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পুলিশ নিরব দর্শক।” তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “ভিত্তিহীন আভিযোগ। উল্টে ওরা মারধর করেছে।” পুলিশের দাবি, মনোনয়ন জমা দিতে এসে কেউ ঘুরে যাননি বা কাউকে হেনস্তা করা হয়নি।
অন্য দিকে, নলহাটি থানার কড্যা সমবায় সমিতির নির্বাচনের ফলাফল ঘিরে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে কাজিয়া শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের প্রার্থীরা ৫টি আসনে জয়ী হয়। ১টি পায় কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি, তাদের চার প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। দু’টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। |