এক ছাত্রীর আনা অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্বভারতীর ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’র রিপোর্টে ‘ক্লিন চিট’ পাওয়া অভিযুক্ত ছাত্রকে দু’বছর বহিষ্কারের নির্দেশ দিল বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর ছাত্র পরিচালক তথা ‘স্ট্যান্ডিং স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিনারি কমিটি’র সভাপতি শমিত রায় মঙ্গলবার চিঠি দিয়ে অভিযুক্ত ছাত্র সুদীপ্ত গড়াইকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। শাস্তির চিঠির একটি প্রতিলিপি বিনয় ভবনের অধ্যক্ষকেও পাঠানো হয়েছে।
যদিও বিশ্বভারতীর এডুকেশন বিভাগের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্র নেতার দাবি, “বিশ্বভারতীরই গঠন করা আগের তথ্য অনুসন্ধান কমিটি আমাকে নির্দোষ বলে রিপোর্ট দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও বর্তমান কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ভাবে আমাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের ছাত্রবিরোধী ও প্রতিষ্ঠান বিরোধী নীতি এবং বিনয় ভবনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে সরব হওয়ার জন্যই এই শাস্তি।” অন্য দিকে, শমিতবাবু বলেন, “‘গ্রিভেন্স কমিটি’র কাছে ওই ছাত্রের দোষ প্রমাণিত হয়েছে। তাঁদের সুপারিশ অনুযায়ী উপাচার্যের অনুমোদনে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে বিনয় ভবনের বিএড পাঠক্রমের ছাত্রী মীরা রুই দাস অভিযোগ করেন, এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য তারই সহপাঠী সুদীপ্ত গড়াই হুমকি দিচ্ছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১১ সালের ১৭ জুলাই বিশ্বভারতী বিনয় ভবনের তৎকালীন অধ্যক্ষ ব্রজনাথ কুণ্ডুর নেতৃত্বে একটি ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ গঠন করে। সব কিছু পর্যালোচনা করে গত বছরের ৭ অগস্ট কমিটি উপাচার্যকে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। ওই রিপোর্টেই অভিযুক্তদের ‘ক্লিন চিট’ দেওয়া হয়।
কিন্তু সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হয়ে ছাত্রীটি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানান। তারই জেরে এ বছর গত ৩০ এপ্রিল বিশ্বভারতীর ‘গ্রিভেন্স কমিটি’র সামনে দেখা করতে বলা হয় সুদীপ্ত গড়াইকে। সেখানে আত্মপক্ষ সমর্থন করার পর ফের গত ১৪ জুলাই বিশ্বভারতীর ‘স্ট্যান্ডিং স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিনারি কমিটি’র সামনে হাজিরা দেন ওই ছাত্র। ওই দিনই সুদীপ্তকে জানিয়ে দেওয়া হয় কমিটি ঘটনায় তাঁকে দোষী পেয়েছে। |