উইসকনসিনের গুরুদ্বারে গুলিচালনার ঘটনার রেশ কাটেনি এখনও। এর মধ্যেই আমেরিকার টেক্সাসে এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ফের গুলি চলল। কলেজ স্টেশন অঞ্চলের একটি বাড়িতে এই ঘটনায় বন্দুকবাজ-সহ তিন জন নিহত হয়েছেন। আহত আরও চার। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পড়ুয়ার ক্ষতি হয়নি। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র জানান, ২৭ অগস্টের আগে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয় না। ফলে ঘটনার সময় বেশির ভাগ পড়ুয়াই ক্যাম্পাসে ছিলেন না। এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় মোট ৪টি গুলিচালনার ঘটনা ঘটল।
অভিযুক্ত বন্দুকবাজ অল্টন ক্যাফাল কলেজ স্টেশন অঞ্চলের বাড়িটিতে ভাড়া থাকত। তবে ওই বাড়িতে সে জবরদস্তি থাকছিল, এই মর্মে তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গত কাল ওই বাড়িতে যান কনস্টেবল ব্রায়ান ব্যাচম্যান। সে সময় বাড়ির ভিতরেই ছিল ক্যাফাল। সেখান থেকে ব্যাচম্যানকে লক্ষ্য করে অ্যাসল্ট রাইফেল থেকে গুলি চালাতে থাকে সে। বেগতিক বুঝে ঊর্ধ্বতন অফিসারদের ফোন করে সাহায্য চান ব্যাচম্যান। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পদস্থ অফিসারেরা। ক্যাফালের সঙ্গে এর পর গুলির লড়াই শুরু হয় পুলিশবাহিনীর। ব্যাচম্যানকে অবশ্য বাঁচানো যায়নি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
যে বাড়িটিতে থাকত ক্যাফাল, তার উল্টো দিকের একটি বাড়িতেই থাকেন রিগো সিসনেরোস নামে এক সেনা চিকিৎসক। গোটা ঘটনাটাই নিজের বাড়ি থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “বেশ কয়েক বার গুলির শব্দ শুনে দরজা দিয়ে উঁকি মেরে দেখি রাস্তার উল্টো দিকে সাদা একতলা বাড়িটা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘নড়বে না, নড়লেই মরবে!’” প্রায় প্রায় আধ ঘণ্টা দু’তরফের গুলি বিনিময় চলে বলে জানিয়েছেন রিগো।
গুলি থামার পর রিগো নিজেও ঘটনাস্থলে যান। দেখেন বুকে গুলি লেগে মারা গিয়েছেন কনস্টেবল ব্যাচম্যান। রিগোর দাবি, পায়ে ও দেহে বেশ কয়েকটি ক্ষত নিয়ে তখনও বেঁচে ছিল ক্যাফাল। সে অবস্থাতেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সে মারা যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় বাড়ির বাইরে ছিলেন ক্রিস নর্থক্লিফ নামে এক ব্যক্তি। গুলি লেগে প্রাণ যায় তাঁরও। আহত ৩ অফিসার এবং এক মহিলা। তবে, গুলি চালানোর পিছনে ক্যাফালের কী উদ্দেশ্য ছিল, সে ব্যাপারে কিছু বলেনি পুলিশ। |