নতুন ছন্দে বাঁধা পড়ছে নগরপথ
নিকাশির বাধা এড়াতে বদল পরমা-পার্ক
সার্কাস ফ্লাইওভারের নির্মাণ-নকশায়
ড়ালপুলের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। তবে, বাদ সেধেছে ব্রিটিশ আমলের ব্রিক স্যুয়ের ও পানীয় জলের পাইপলাইন। যার জেরে আরও এক বছর পিছিয়ে গেল পরমা আইল্যান্ড থেকে পার্ক সার্কাস কানেক্টর হয়ে পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড় পর্যন্ত এই উড়ালপুলের উদ্বোধন। নতুন করে বদলাতে হচ্ছে নকশাও।
পরমা আইল্যান্ড থেকে বলা হলেও আসলে উড়ালপুলটি শুরু হচ্ছে এক দিকে বাইপাসের ধাপা সংযোগস্থলে এবং অন্য দিকে গড়িয়ার অম্বেডকর সেতুর আগে থেকে। এর মাঝে চার নম্বর সেতুর কাছ থেকে দরগা রোডের মোড় পর্যন্ত মাটির নীচ দিয়ে ব্রিটিশ আমলে তৈরি ওই ব্রিক স্যুয়ের ও পানীয় জল সরবরাহের একটি পাইপলাইন এমন ভাবে গিয়েছে, যা কোনও মতেই অন্যত্র সরানো যাচ্ছে না। যার জেরে সেখানে সরাসরি গভীর পাইলিং করে উড়ালপুলটিকে স্তম্ভের উপর দিয়ে সাত মাথার মোড় পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
যদিও ওই এলাকায় উড়ালপুলের বাকি ৩৫ মিটার মূলত পরপর তৈরি স্তম্ভের উপরে ভর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এ পরিস্থিতিতে কেএমডিএ সূত্রের খবর, চলতি মাসে চালু হওয়ার কথা থাকলেও আগামী বছরের অগস্ট মাসের আগে এই কাজ শেষ হওয়ার আশা দেখা যাচ্ছে না।
কাজ চলছে উড়ালপুলের। ছবি: রাজীব বসু
পরিস্থিতি বিচার করে মূল নকশার কিছু অদলবদল ঘটিয়ে চার নম্বর সেতুর কাছে গাড়ি চলার চার লেনের রাস্তাটি ধরে রাখতে আগের পোর্টাল পদ্ধতি (উড়ালপুলের দুই দিক থেকে দেওয়াল তুলে, তা দিয়েই পথটি ধরে রাখা) প্রয়োগ করতে হচ্ছে। এখানে ওই ধরনের ১৫টি স্তম্ভের বদলে ৫২৫ মিটার এলাকায় প্রয়োজন মতো রাস্তার দুই পাশে দেওয়াল তুলতে হবে। চার নম্বর সেতুর উপর এখন যে পায়ে হেঁটে চলার সেতু রয়েছে, ভেঙে দেওয়া হবে সেটিও। তবে পায়ে চলার সেই সেতুটি ভাঙার কথা হওয়ায় স্থানীয়দের মনে বিগত দিনের ভয়াবহ দুর্ঘটনার ছবি ফিরে আসছে। কারণ, ওই মোড়টি পেরিয়েই বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে। সেই স্কুলে যাওয়ার পথে এর আগে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার থেকে গাড়িতে আগুন দেওয়া, দীর্ঘক্ষণ পথ আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
উড়ালপুলটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সব মিলিয়ে এটির দৈর্ঘ্য হবে ৯.২ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাইপাস থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত ৪.২ কিলোমিটার। বাকিটা যাবে তপসিয়া থানার সামনে থেকে বেকবাগান, পার্ক সার্কাস এ জে সি বসু রোড উড়ালপুল থেকে সাত মাথার মোড়। এখনও পর্যন্ত শহরের এই দীর্ঘতম উড়ালপুলটির কাজে খরচ হয়েছে ৩২০ কোটি টাকা। তবে খরচ আরও কিছু বাড়তে পারে।
‘কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথিরিটি’ (কেএমডিএ)-র চিফ এগ্জিকিউটিভ বিবেক ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, পরমা আইল্যান্ডের দিক থেকে আসা উড়ালপুলটিকে এ জে সি বসু রোড উড়ালপুলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে কংগ্রেস এগ্জিবিশন রোড, নাসিরুদ্দিন রোড দিয়ে বেকবাগানের কাছে। আর পুলিশ ট্রেনিং স্কুল (পিটিএস) থেকে সল্টলেক বা গড়িয়া যাওয়ার জন্য পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়ের কাছে নতুন উড়ালপুলটি যুক্ত করে দেওয়া হবে এ জে সি বসু রোড উড়ালপুলের সঙ্গে। বাইপাস থেকে পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়ে নেমে পার্ক স্ট্রিট, গড়িয়াহাট বা শিয়ালদহের দিকে যাওয়ার জন্য উড়ালপুলের একটি বাহু নামিয়ে দেওয়া হবে ওই সংযোগস্থলে। সেখান থেকে পার্ক সার্কাস কানেক্টর ধরার ব্যবস্থাও করা হবে। কারণ, ওই মোড় থেকে সেতুতে ওঠা-নামর জন্য দু’টি লেন যুক্ত করা হচ্ছে সেতুর সঙ্গে। তবে ৯ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ এই সেতু থেকে মাঝখানে ওঠা-নামার জন্য পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়ই এক মাত্র জায়গা।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.