রাজ্য সরকার বর্ধমান জেলাকে দু’ভাগে ভাগ করে আসানসোল-দুর্গাপুর নিয়ে একটি পৃথক জেলা করার পরিকল্পনা করেছে। এই উদ্যোগ অবশ্যই সাধুবাদ যোগ্য। বর্ধমানের মতো একটা বৃহৎ জেলাকে ভাঙলে প্রশাসনিক যে সুবিধা হবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে, জেলার আকার বড় হওয়ার কারণে প্রশাসনিক সুবিধা সর্বত্র সমান ভাবে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই প্রশাসনিক সুবিধা এবং সামাজিক উন্নয়নের স্বার্থে বর্ধমান জেলাকে ভেঙে দুটো করলে তাতে অবশ্যই সুবিধা হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সদর কোন শহরটি হবে। সাধারণ ভাবে জেলা সদর গড়ে তোলার জন্য কতকগুলি পরিকাঠামোর প্রয়োজন হয়। এই পরিকাঠামোর প্রথমেই দেখতে হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই যোগাযোগের ক্ষেত্রে আসানসোল কিংবা দুর্গাপুর দুটি স্থানেরই অবস্থান একই। কিন্তু অন্যান্য পরিকাঠামোর বিচারে দুর্গাপুর কিন্তু আসানসোলের থেকে অনেকখানি এগিয়ে আছে। দুর্গাপুর আজ আর শুধু ইস্পাতনগরী নয়, দুর্গাপুর আজ গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও বাণিজ্য নগরী হিসেবেও প্রথম সারিতে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা দুর্গাপুরে এগিয়ে এসেছে এখানকার পরিকাঠামোর সুবিধার কারণে। প্রশাসনিক ভবন তৈরি করার জন্য যে জমির প্রয়োজন তা শহরের মূলকেন্দ্রেই রয়েছে, আসানসোলের ক্ষেত্রে এই জমির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তা ছাড়া দুর্গাপুর শহরের গুরুত্ব আগামী দিনে আরও বাড়বে। সেই গুরুত্বের কথা বিবেচনা করেই দুর্গাপুরকে জেলা সদর হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। আসানসোল-দুর্গাপুরের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা এই পত্রলেখকের উদ্দেশ্য নয়। আসানসোল তো ইতিমধ্যে পুলিশ কমিশনারেট পেয়েছে, পেতে চলেছে সিবিআই আদালত-সহ অনেক কিছু। কিন্তু বিধান রায়ের ‘মানসপুত্র’ দুর্গাপুরকে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি আরও একটি মুকুট পরিয়ে দেন তাতে শুধু দুর্গাপুরের মর্যাদা বাড়বে না, বিধান রায়ের প্রতিও আমরা যথাযথ মর্যাদা দিতে পারব। দুর্গাপুরকে জেলা সদর ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী গর্বিত হতে পারেন এই ভেবে যে, বাংলার রূপকারের স্বপ্নকে তিনি বাস্তবায়িত করেছেন। |
শেষ বারের মতো বাগনান থেকে নারিট বাস চলেছিল ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৩। তার পর রাস্তা খারাপের জন্য বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর রাস্তা মেরামত হলেও বাস আর চালু হয়নি। এ পথের একমাত্র পরিবহণ বলতে গুটি কয়েক ট্রেকার। তাও মাঝে মধ্যেই নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায়। বাদুড়ঝোলা হয়ে যাতায়াত করা নিত্যযাত্রীদের যন্ত্রণার শেষ নেই। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। গত বছরই মারা গেছেন বেশ কয়েকজন। অথচ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উদাসীন। তাই এ ব্যাপারে মাননীয় পরিবহণমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। |
বিষ্ণুপুর বিডিও অফিসে প্রতি সোম ও শুক্রবার প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণরত শিক্ষক ও শিক্ষিকারা প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। প্রতি বছর বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে টিফিন ও মধ্যাহ্নভোজ-সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত হয়ে থাকে প্রতিবন্ধীদের দ্বারা ও বিশিষ্টবর্গের উপস্থিতিতে। ২০১১ সালে সেই অনুষ্ঠান অনেক পরে পালিত হয়ে থাকলেও ২০১২ সালে এখনও পর্যন্ত সেই অনুষ্ঠান পালন করা সম্ভবপর হয়ে উঠল না। |
দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথের বাগনান একটি জনবহুল স্টেশন। হাওড়া-মেদিনীপুর শাখার প্রায় সমস্ত লোকাল ট্রেনই এই স্টেশনে এসে ফাঁকা হয়ে যায়। তখন ট্রেনের হাজার হাজার যাত্রী হয় উল্টো দিকের দরজা দিয়ে ঝাঁপ দিয়ে, নয়তো লাইন টপকে পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন। এ ভাবে পারাপার করতে গিয়ে কয়েক মাস আগে একজন ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। এ নিয়ে স্টেশনে জনতা ভাঙচুর হয়। কিন্তু তার পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। |