|
|
|
|
খড়্গপুরে ব্যবসায়ী খুনে ধৃত যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে খড়্গপুর শহরের খরিদা বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম চলপৎ রাও (২৮)। বাড়ি খরিদাতেই। রবিবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ধৃতকে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ হয়। খড়্গপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য্য বলেন, “ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আর কাদের যোগ রয়েছে, কী জন্যই বা ওই ব্যবসায়ীকে খুন করা হল, তদন্তে সে সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঘটনাটি গত ২৯ জুলাই রাতের। ওই দিন দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন রাধেশ্যাম গুপ্ত নামে এক ব্যবসায়ী। তাঁর বাড়িও খড়্গপুর শহরের খরিদায়। গুলিবিদ্ধ হন বিট্টু সাহু নামে এক যুবকও। তিনি দোকানের কর্মচারী। ওই যুবকের সঙ্গেই মোটর সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন রাধেশ্যাম। শুরুতে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তবে ঘটনার কিনারা করতে পারছিল না পুলিশ। খুনে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে ৩১ জুলাই খড়্গপুর শহরে ব্যবসা বন্ধের ডাক দেয় চেম্বার অফ কমার্স।
খড়্গপুরে এসে ঘটনাটি নিয়ে খোঁজখবর নেন আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা বলেন। জানান, উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। তদন্তে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে, তার একদিকে ডিআইজির বাংলো রয়েছে। অন্য দিকে পুলিশ ফাঁড়ি। এই এলাকায় ‘বাড়তি’ পুলিশি নজরদারি থাকে। এই নজরদারির মধ্যেই কী ভাবে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। চলতি বছরই জানুয়ারিতে ডাকাতদের গুলিতে খরিদায় সঞ্জয় সাহু নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। ডাকাতি করতে এসে বাধা পেয়ে ওই যুবককে গুলি করে একদল দুষ্কৃতী। তার কয়েক মাস আগে রীতা সাউ নামে এক মহিলা দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন।
রেলশহরে নানা ভাষার মানুষের বসবাস। মাঝেমধ্যেই চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ী খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার সঙ্গে এক দুষ্টচক্রের হাত রয়েছে। পরে কয়েকটি নামও পুলিশের হাতে আসে। সব খতিয়ে দেখে শনিবার রাতে খরিদার ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ধৃতকে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সরকারপক্ষের আইনজীবী শেখ আজিজুল হক বলেন, “বাকি অভিযুক্তদের খোঁজার জন্যই ওই আসামীকে পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।” ধৃতকে জেরা করে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজ মিলতে পারে বলেও মনে করছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|