খাদিম-কর্তা অপহরণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত মহম্মদ তসলিম ওরফে চুন্নু মিয়াঁকে দলে নিল কংগ্রেস! রবিবার সিপিএম ছেড়ে চুন্নু কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। বিরোধী শিবিরে থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের উপরে হামলার চেষ্টায় অভিযুক্ত, গার্ডেনরিচ এলাকার দুষ্কৃতী মোক্তারকে এর আগে দলে নিয়েছিল কংগ্রেস। তার জেরে জোট শরিকের সঙ্গে তৃণমূলের বিস্তর মনোমালিন্যও হয়েছিল। তার জের কাটার আগেই আরও এক অভিযুক্তকে কংগ্রেসে নেওয়ায় নতুন করে বিতর্কের সম্ভাবনা
দেখা দিয়েছে।
কসবা এলাকার সিপিএম কর্মী চুন্নুর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ উঠেছে এর আগে।
|
চুন্নু মিঞা |
এলাকার তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রী জাভেদ খানকে ‘হেনস্থা’র অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই চুন্নুকে দলে নেওয়ায় ভাবমূর্তি ‘ক্ষুণ্ণ’ হওয়ার আশঙ্কা করছে কংগ্রেসের একাংশ।
বিশেষত, সিপিএমের ‘দুষ্কৃতী’দের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে কংগ্রেস হামেশাই সরব হচ্ছে, তাদেরই এমন সিদ্ধান্তে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দলের একাংশে। তৃণমূলও এই সিদ্ধান্তকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘হাতিয়ার’ করতে পারে বলে জোট শিবিরের একাংশের বক্তব্য।
এই বিতর্ককে অবশ্য গুরুত্ব দিতে চাননি প্রদীপবাবু। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, “কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সমাজসেবা করতে চেয়েছেন চুন্নু। সমাজসেবা করতে চাইলে আটকাব কী ভাবে!”
পক্ষান্তরে, মন্ত্রী জাভেদের প্রতিক্রিয়া, “চুন্নু সিপিএমের সক্রিয় কর্মী। ওঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়াতেও আমাদের কিছু যায় আসে না!”
চুন্নুর পাশাপাশি কসবারই বেশ কয়েক জন সিপিএম এবং তৃণমূলের কর্মী এ দিন কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে আছেন জাভেদ-ঘনিষ্ঠ মহম্মদ সাহিদ মণ্ডলও। বেশ কয়েক জন মহিলাও কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বলে প্রদীপবাবু জানান। তবে অনেক দিন আগেই তৃণমূলের সঙ্গে সাহিদের ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছিল দাবি করে জাভেদ বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘদিন যোগাযোগ না-থাকা লোকজন কংগ্রেসে গেলেও তৃণমূলের উপরে কোনও প্রভাব পড়বে না।”
নতুনদের দলে নেওয়ার পাশাপাশি বহিষ্কৃত কয়েক জনকেও ফের দলে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। শনিবার দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকেই সুপারিশ করা হয়েছে অসিত মজুমদার, ফজলে হক, রমনী নস্কর-সহ ৭-৮ জন পুরনো সদস্যের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার।
প্রদীপবাবু বলেন, “গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বহিষ্কার করা হয়েছিল এঁদের। ফের দলে তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য হাইকম্যান্ডের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।” |