বিদ্যুৎ দফতরে ভাঙচুর এবং কর্মীদের মারধরের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে মালদহের চাঁচল রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির দফতরের ঘটনা।
বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের উত্তর মালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজার বরুণ বিশ্বাস বলেছেন, “কিছু দিন আগে ভেবার ট্রান্সফর্মারটি পুড়ে গিয়েছে। এ দিনই ওখানে নতুন ট্রান্সফর্মার বসানোর কথা ছিল। কিন্তু কিছু বাসিন্দা দফতরে চড়াও হয়ে সমস্ত ফিডার লাইন বন্ধ করে কর্মীদের মারধর, ভাঙচুর করেছেন। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে।” মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেছেন, “পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আইন মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদ আলি, ইকবাল হোসেনরা বলেন, “বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম। কেউ কাউন্টারে ঢুকিনি। ভয় পেয়ে দফতরের কর্মীরা ছোটাছুটি করতে গিয়ে দফতরের কম্পিউটার, কাচ ভেঙে থাকতে পারে।” এর আগেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির দফতরে চড়াও হয়ে কর্মীদের মারধর করে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৬৩ কেভির ট্রান্সফর্মারটি বিকল হওয়ায় গত দু’সপ্তাহ ধরে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ১০ অগস্টের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে বলে দফতরের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়। সেই মতো এলাকায় কাজ শুরু হয়। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, “৬৩ কেভি ট্রান্সফর্মারটি চাপ নিতে না পেরে বিকল হয়ে গিয়েছে। তাই ১০০ কেভি ট্রান্সফর্মার বসানোর দাবি জানানো হয়েছিল। তা না করে ২৫ কেভি ট্রান্সফর্মার বসানোর উদ্যোগ নেয় বিদ্যুৎ দফতর।” এই অভিযোগে কয়েকশো লোক এ দিন দফতরে হাজির হয়ে বিক্ষোভ দেখান। তার পরেই ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ।
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানানো হয়, ৬৩ কেভি ট্রান্সফর্মার না থাকায় আপাতত ২৫ কেভি ট্রান্সফর্মার এ দিন বসানো হচ্ছিল। কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশ দফতরে চড়াও হয়ে হামলা চালান। জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মাধক্ষ্য সৈয়দ মাঞ্জারুল ইসলাম জানান, “পরিকাঠামো তৈরি না করেই বিপিএল তালিকাভুক্তদের ঢালাও সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সে জন্য বাড়তি চাপে ট্রান্সফর্মার পুড়ে একাধিক এলাকায় একই সমস্যা হয়েছে। সমস্যা মেটাতে তো রাজ্য সরকারকেই উদ্যোগী হতে হবে।” |