টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি আর মাসখানেক। কিন্তু বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে বেকায়দায় মনোজ তিওয়ারি।
নেপথ্যে ইডেনের বেহাল ইন্ডোর ও তার হতশ্রী নেট। সিন্থেটিক টার্ফের ওই তিন নেটের অবস্থা বেশ খারাপ। এবং সদ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টিমে ডাক পাওয়া মনোজ বুঝে পাচ্ছেন না ইন্ডোরে কী ভাবে ব্যাটিং অনুশীলন চালাবেন।
শনিবার ইডেনে এসেছিলেন মনোজ। ব্যাটিং অনুশীলন শুরু করবেন দিন কয়েক পর। কিন্তু সেটা ইন্ডোরেই করবেন কি না, এখনও জানেন না। “বোলিং করতে এখানে অসুবিধা হবে না। কিন্তু ব্যাটিং নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। দেখা যাক, অন্য কোনও বিকল্প পাওয়া যায় কি না,” ইডেন ছাড়ার আগে বলে গেলেন মনোজ। আর সিএবি-র বিকল্প ব্যবস্থা বলতে কী? সংস্কারের কাজ এখনও শুরু হয়নি। ইন্ডোরকে নতুন চেহারা দিতে লেগে যাবে এক বছর। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বলা হচ্ছে, কল্যাণীতে সিএবি অ্যাকাডেমির সিন্থেটিক টার্ফের কথা। যা আগামী ২০ অগস্ট থেকে বসে যাচ্ছে। দ্বিতীয় রাস্তা হিসেবে ধরা হচ্ছে ইন্ডোরের নেটকেই! সিএবি-র যুগ্ম-সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, তিনটের মধ্যে দু’টো নেট ভাল অবস্থায়। কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে আবার জানাচ্ছেন, দু’টো নয়। একটা নেট প্রস্তুত। কেউ কেউ আবার তুলে আনছেন শিলিগুড়িতে গিয়ে অনুশীলন করার কথা, যা আপাত-দৃষ্টিতে অসম্ভব।
মনোজ আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার হিসেবেই নিজেকে দেখতে চান। শ্রীলঙ্কায় তাঁর স্পিন ম্যাচ জিতিয়েছে ভারতকে। গুগলি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছেন। বলছিলেন, “লেগ স্পিন বা অফ স্পিন দু’টোই এখন করতে পারি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ বারবার আসবে না। আর ব্যাটিংয়ের সঙ্গে স্পিন বোলিংটাও যদি ভাল করে করতে পারি, আর কেউ আমাকে বাদ দিতে পারবে না।” |