আবার তিনি আসিয়াছেন ফিরিয়া। তিনি, অর্থাৎ বাবা রামদেব। বৎসরকাল পূর্বে যে রামলীলা ময়দান হইতে তিনি নারীর ছদ্মবেশে পলায়ন করিয়াছিলেন, সেই ময়দানেই ফিরিয়া আসিলেন। কেহ বলিতেই পারেন, সেই অণ্ণা হজারেও নাই, সেই রামলীলাও নাই। কিন্তু, রামদেব জানাইয়া দিলেন, তিনি বিলক্ষণ আছেন। অণ্ণা হজারে যে লোকপাল বিলের দাবিকে অনাথ করিয়া রাজনীতির ময়দানে নামিয়া পড়িয়াছেন, সেই লোকপাল বিলের দাবিই রামদেবের কণ্ঠে ধ্বনিত। তাঁহার ব্যক্তিগত জীবন, প্রতিষ্ঠান লহিয়া বহু প্রশ্ন রহিয়াছে। তাহাতে কী? দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করিবার গুরুদায়িত্ব কাহাকে তো বহন করিতে হইবে। তিনি দেশকে মেদমুক্ত ও কেশবান করিবার দায়িত্ব লহিয়াছিলেন, দুর্নীতিমুক্ত করিবার কাজটিই বা তাঁহার অধরা থাকে কেন? অবশ্য, ক্রমেই প্রমাণ হইতেছে, রামলীলা ময়দানের এই আন্দোলন-পালা প্রকৃত প্রস্তাবে রাজনীতির ঘোলা জলে ছিপ ফেলিবার পাসপোর্টমাত্র। রামদেব যে রাজনীতিতে আসিতে চাহেন, তাহা নূতন সংবাদ নহে। সংসদ ভবনের পথ এখন রামলীলা ময়দান হইয়া যাইতেছে। প্রশ্ন হইল, তাঁহার পরে কে? সমগ্র দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করিবার ধর্মযুদ্ধের পরবর্তী নায়কের প্রতীক্ষায় রহিয়াছে। |