পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার প্রায় সব স্টেশনেই কম বেশি নির্মাণ কাজ চলছে। তা সে নতুন স্টেশন ঘর হোক, বা শেড নির্মাণই হোক। ঐতিহাসিক কাশিমবাজার স্টেশন কিন্তু সেই নিরিখে বাদের তালিকায় পড়ে রয়েছে। অথচ ওই স্টেশনের দু’টি প্ল্যাটফর্মের খুব সামান্য অংশে শেড রয়েছে। ফলে বর্ষায় ও গ্রীষ্মে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বসার জায়গাও মুলত ওই দু’টি শেডের নীচেই। স্টেশনের অন্যত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু জায়গা রয়েছে ঠিকই কিন্তু সে সব জায়গা বসার উপযোগী নয়। মান্ধাতার আমলের সিমেন্টের স্ল্যাব বসানো নীচুু জায়গা। তা-ও ঝোপঝাড় ও আগাছায় কণ্টকিত। পানীয় জলের ব্যবস্থা বলতে দু’তিনটি টিউবয়েল ও হ্যান্ডপাম্প। যে গুলিকেকে এক সঙ্গে কেজো অবস্থায় পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। তা ছাড়া, যেখানে খুব ছোট স্টেশনেও একাধিক ছাদওয়ালা শৌচাগার রয়েছে, সেখানে এ স্টেশনে আকাশের নীচের খোলা ল্যাট্রিনই ভরসা। এমনকী মহিলা যাত্রীদের জন্যও কোনও শৌচাগার নেই। ওই স্টেশনে একটি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে, যা ভবিষ্যতে পুরুষ ও মহিলা শৌচালয় হিসাবে পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি খুব বেশি পাল্টাবে বলে মনে হয় না। কারণ, সেটি এমন জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে, যে সেটিকে খুঁজে পাওয়া রীতিমতো আবিষ্কারের পর্যায়ভুক্ত হবে। যাত্রী সংখ্যা ওই স্টেশনে যে কম নয়, তা সরকারি পরিসংখ্যানই বলবে। কাশিমবাজারের ঐতিহাসিক গুরুত্বও সুবিদিত। ফলে ওই স্টেশনটির হেরিটেজ সম্মান পাওয়া উচিত ছিল। তার বদলে যাত্রী পরিষেবার ওই হাল সত্যিই বিস্ময়কর।
সুদীপ জোয়ারদার, খাগড়া।
|
প্রায়ই আমাকে কলকাতা যাতায়াত করতে হয়। আমার মতো অনেককেই ট্রেনের কামরার ভিতরের প্রচণ্ড ভিড় কোনও মতে সামাল দিয়ে ২০০ কিলোমিটার রেলপথ যেতে হয় ও আসতে হয়। বহরমপুর থেকে ভাগীরথী এক্সপ্রেস ও ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে বসার কথা অকল্পনীয়, দাঁড়নোর মতো জায়গাটুকুও মেলে না। ভাগীরথী এক্সপ্রেসে পনেরো দিনের আগে সিটের রির্জাভেশনও পাওয়া যায় না। ওই ট্রেনটির কামরার সংখ্যা বাড়ানো খুবই জরুরি প্রয়োজন। ধনধান্যে এক্সপ্রেস খুব ভাল ট্রেন। কিন্তু সেটি শিয়ালদহ স্টেশন যায় না। যায় কলকাতা স্টেশন। কলকাতা স্টেশনে বাস পাওয়া যায় না বলে অনেকে ওই ট্রেনটি এড়িয়ে চলেন। ওই ট্রেনটি একদিন অন্তর চালানো অযৌক্তিক। আমাদের মঙ্গলবার কাজ থাকলে কি ওই ট্রেনটির জন্য আগের দিন সোমবার কলকাতায় যেতে হবে? রাজনৈতিক কারণে মুর্শিদাবাদ জেলা রেল পরিষেবা থেকে বিমাতৃসুলভ আচরণ পাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন, যাত্রীসাধারণ কি দোষ করেছে? অগণিত সাধারণ মানুষের কথা ভেবে রেলকর্তাদের উচিত দ্রুত নশিপুর রেলব্রিজ ও ডবল লাইন চালু করা। অনুরোধ, রেলমন্ত্রী যে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এ জেলার উন্নয়নের কাজ ত্বরান্বিত করুন।
সুব্রত দত্ত, বহরমপুর।
|
জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ ভাগীরথী পাড়ের যমজ শহর। ওই যমজ শহর দিয়ে চলে গিয়েছে পূর্ব রেলের হাওড়া ও শিয়ালদহ বিভাগের দু’টি রেলপথ। কিন্তু আজিমগঞ্জ জংশন ও জিয়াগঞ্জ স্টেশনে পর্যাপ্ত টিকিট কাউন্টার না থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তির একশেষ হচ্ছে, বিশেষত সকালের দিকে। রেলকর্তাদের কাছে অনুরোধ, ওই দু’টি স্টেশনে দ্রুত পর্যাপ্ত কাউন্টারের ব্যবস্থা করে যাত্রীদের হয়রানি থেকে রেহাই দিন।
ছোটন গোস্বামী, জিয়াগঞ্জ।
|
না উত্তরবঙ্গ, না দক্ষিণবঙ্গ উভয় বঙ্গের উন্নত রেলপরিষেবা থেকে আজও বঞ্চিত প্রান্তিক জেলা মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমার বাসিন্দারা। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন নতুন রেলপ্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন হচ্ছে ও চালু হচ্ছে দ্রুতগামী ট্রেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কিছুদিন আগে জঙ্গিপুর-শিয়ালদহ প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হয়েছে বটে। কিন্তু সেই ট্রনটি জঙ্গিপুর থেকে দুপুর ১টা বেজে ১০ মিনিটে ছেড়ে শিয়ালদহ পৌঁছোয় রাত ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে। ২৫০ কিলোমিটার পথ যেতে সময় লাগছে ১০-১১ ঘণ্টা। রঘুনাথগঞ্জ থেকে কলকাতাগামী রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের ২টি বাস চলত। সেগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রঘুনাথগঞ্জ থেকে ভোরে বাকুড়া ও দুর্গাপুরগামী দু’টি সরকারি বাস চলত। তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিপুর মহকুমার সঙ্গে ওই বৈষম্য ও বঞ্চনা কেন?
কাশীনাথ ভকত, জঙ্গিপুর। |