আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনগুণ আসন বৃদ্ধির আশা করছে রাজ্য বিজেপি। বর্তমানে গোটা পশ্চিমবঙ্গে তাদের গ্রাম পঞ্চায়েতে এক হাজার দশ জন, পঞ্চায়েত সমিতিতে একশো পঁয়ষট্টি জন এবং জেলা পরিষদে দু’জন সদস্য আছেন। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে ওই তিন স্তরের প্রত্যেকটিতেই তিনগুণ সদস্য বাড়বে বলে রাজ্য বিজেপি-র আশা।
বিশেষত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, বসিরহাট অঞ্চল, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বর্ধমান এবং বীরভূম নিয়ে তারা সব চেয়ে বেশি আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই এ রাজ্যে ছ’টি পুরসভার ভোট হয়েছে। সেখানে বিজেপি-র ভোটের হার এবং আসন সংখ্যা বেড়েছে। ধূপগুড়ি পুরসভার একটি ওয়ার্ড ধরে রাখার পাশাপাশি নলহাটি এবং দুর্গাপুরে একটি করে ওয়ার্ড জিতেছে তারা।
পুরসভার পরে এ বার পঞ্চায়েতেও সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ থাকবে বলে তাদের দাবি।
এর কারণ হিসাবে দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ চারটি বিষয় ব্যাখ্যা করেছেন প্রথমত, গত বারের তুলনায় এ বারে দলের সদস্যসংখ্যা বেড়েছে। সুতরাং, পঞ্চায়েত ভোটে তার প্রতিফলন হবে।
দ্বিতীয়ত, নিচু তলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তাদের অনেক সমর্থকের ভোট বিজেপি-র দিকে আসবে।
তৃতীয়ত, সংগঠন দুর্বল হওয়ায় এবং তৃণমূলের ‘আক্রমণে’র ফলে সিপিএম বহু জায়গায় প্রার্থী দিতে পারবে না। সেই সব জায়গায় সিপিএমের সমর্থকরা বাধ্য হয়ে বিজেপি-কে ভোট দেবেন। কারণ, তৃণমূলকে ঠেকাতে তাঁদের হাতে অন্য রাস্তা থাকবে না।
চতুর্থত, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মুসলিমরা বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন। কারণ, রাজ্য সরকারের ইমাম-ভাতার ঘোষণার ফলে মুসলিম সমাজে বিভাজন তৈরি হয়েছে। যাঁরা ইমাম-ভাতা পাচ্ছেন না, তাঁরা অসন্তুষ্ট।
তা ছাড়া, সাধারণ মুসলিম জনতা আধুনিক শিক্ষা চান। ইমাম হয়ে ভাতা পেতে চান না। রাহুলের কথায়, “এই সমস্ত কারণেই আগামী পঞ্চায়েত ভোটে আমাদের আসন তিনগুণ বাড়বে বলে আশা করছি।” |