|
|
|
|
জামশেদ আলি ভবনেই শহিদ স্মরণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গত বছর থেকেই বদলে গিয়েছিল ছবিটা। পার্টি অফিসের মধ্যেই অনাড়ম্বর ভাবে পালিত হচ্ছে ‘শহিদ দিবস’। এ বারও তাই হল। শুক্রবার কেশপুরে সিপিএমের জোনাল কার্যালয় জামশেদ আলি ভবনের মধ্যেই হল স্মরণসভা। ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী নন্দরানি ডল, কেশপুরের বর্তমান বিধায়ক রামেশ্বর দোলুই, মহিলা নেত্রী রুবি রায় প্রমুখ।
১৯৮৩ সালের ১০ অগস্ট কেশপুরে দলীয় কার্যালয়েই খুন হয়েছিলেন সিপিএম নেতা জামশেদ আলি। এরপর থেকে এই দিনটিকে ‘শহিদ দিবস’ হিসেবে পালন করে সিপিএম। তাঁর নামেই জোনাল অফিসের নামকরণ হয়েছে। এরপরও রাজনৈতিক সংঘর্ষে কেশপুরে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। |
|
জামশেদ আলির স্মরণে অনুষ্ঠান |
সিপিএমের দাবি, তাঁদের ৬৮ জন কর্মী-সমর্থক শহিদ হয়েছেন। এই দিনে তাঁদেরও স্মরণ করা হয়। আগে আড়ম্বর ভাবেই দিনটিকে পালন করেছে সিপিএম। রাজ্যে পালাবদলের আগে, ২০১০ সালেও এই দিনটিতে বাসস্ট্যান্ডের সামনে মঞ্চ বেঁধে শহিদ স্মরণ সভা হয়েছে। শুধু জেলা নেতৃত্বই নন, সভায় আসতেন রাজ্য নেতৃত্বও। কখনও সুভাষ চক্রবর্তী এসেছেন। কখনও এসেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তবে পালাবদলের পরই ছবিটা বদলে গিয়েছে।
আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস-লরি- ছোট ছোট গাড়িতে করে বহু কর্মী-সমর্থক সভায় আসতেন। ভিড়ে ঠাসা সমাবেশে বক্তব্য রাখতেন রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব। গত বছর থেকেই অবশ্য এ সব আয়োজন করা করা হচ্ছে না।
শুক্রবার দুপুরে পার্টির অফিসের মধ্যেই শহিদ স্মরণ সভা হয়। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপস্থিত নেতৃত্ব জানান, পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। মানুষকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের এগোতে হবে। দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে যে সব ‘ঘরছাড়া’ দলীয় কর্মী- সমর্থক রয়েছেন, মূলত তাঁদের নিয়েই এই সভা হয়েছে। উপস্থিত নেতৃত্ব শুরুতে শহিদবেদিতে মাল্যদান করেন। তারপরই সভার কাজ শুরু হয়। |
|
|
|
|
|