দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর
স্থায়ী দুর্ভোগ
তাপ্পিই সম্বল
রাস্তার দু’পাশে জল সরার কোনও ব্যবস্থা নেই। রয়েছে দখলদারির সমস্যা। ফলে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে সারানো হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। ফের অল্প দিনের মধ্যেই বেরিয়ে পড়ছে খোলনলচে।
সোনারপুর-চাকবেড়িয়া এবং সাউথ গড়িয়া-চম্পাহাটি রোড সংস্কারের কাজ সম্প্রতি শুরু করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পূর্ত ও সড়ক বিভাগ। দফতরের অধিকাংশ আধিকারিক জানান, রাস্তা সংস্কার করা হলেও তার স্থায়িত্ব নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ যে সমস্ত উপাদান দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয় তার প্রধান শত্রু হচ্ছে জমা জল।
পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের অভিযোগ, সোনারপুর গ্রামীণ এলাকায় রাস্তার দু’ধার দিয়ে আজও কোনও উন্নত মানের নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। তার উপরে পূর্ত দফতরের আওতায় রাস্তার দু’পাশে থাকা জমিতে রয়েছে দখলদারির সমস্যা। তাই মেরামত করা হলেও এই দুই রাস্তাকে জমা জলের হাত থেকে বাঁচানো খুব কঠিন।
সোনারপুর-চাকবেড়িয়া এবং সাউথ গড়িয়া-চম্পাহাটি রোড দিয়ে সোনারপুর গ্রামীণ এলাকার কয়েক লক্ষ বাসিন্দা নিয়মিত যাতায়াত করেন। কারণ এই দুই রাস্তা ঘটকপুকুর, ঘুটিয়ারি শরিফ, ক্যানিং, সোনারপুর, বারুইপুর এবং কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম।
চম্পাহাটি, সাউথ গড়িয়া, কালিকাপুর, মাকরামপুর, তেমাথা, চাকবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার এই দুই রাস্তা সারালেও তা মাস কয়েকের মধ্যে খারাপ হয়ে যায়। এ ভাবেই চলছে বছরের পর বছর।
সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের ভাস্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই এলাকায় পূর্ত দফতরের জমিতে দখলদারির সমস্যা রয়েছে। অনেক জায়গাতেই রাস্তার দু’পাশে জল বের হওয়ার পথ নেই। কিন্তু পূর্ত দফতরকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।”
বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা সারানোয় উন্নত মানের উপাদান ব্যবহার করা হয় না বলেই কয়েক মাস অন্তর রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে। চম্পাহাটি, সাউথ গড়িয়া, কালিকাপুর, মাকরামপুর, তেমাথা, চাকবেড়িয়া এলাকায় ঘুরে দেখা গেল অধিকাংশ জায়গাতেই রাস্তার পাশে জল বের হওয়ার কোনও পথ নেই। অনেক জায়গায় রাস্তার পাশে জমি দখল করে বসতি ও দোকান গজিয়ে উঠেছে। রাস্তার তল থেকে উঁচু করে অনেক জায়গায় পাকা বাড়িও হয়েছে। ফলে এ সব জয়গায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হলেই জল দাঁড়িয়ে যায়।
সাধারণ বাসিন্দাদের অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ্য সড়ক ও পূর্ত দফতরের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কার্যনির্বাহী বাস্তুকার বিনয় মজুমদার বলেন, “পূর্ত ও সড়ক দফতরের অন্যতম কাজ খারাপ রাস্তা সারানো। কিন্তু রাস্তার দু’পাশে নিকাশি ব্যবস্থা না-থাকায় এবং রাস্তা-সংলগ্ন পূর্ত দফতরের জমিতে দখলদারির সমস্যায় রাস্তা ঠিকমতো সারিয়েও লাভ হচ্ছে না। শুধু সোনারপুর গ্রামীণ এলাকা নয়, জেলার অনেক জায়গাতেই এই নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। সমাধানের জন্য আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসব।”

ছবি: পিণ্টু মণ্ডল




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.