|
|
|
|
কারখানার পাঁচিল ভাঙা, উদ্বেগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শালবনিতে জিন্দলদের ইস্পাত কারখানার প্রাচীরের একাংশ ভেঙে দিয়েছেন এলাকারই কিছু মানুষ। যা দেখে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছেন জিন্দল গোষ্ঠীর কর্তারা। মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে শালবনি থানায়। তদন্ত করে পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, ক্ষোভবশত নয়, গরু চরানোর জন্যই ভাঙা হয়েছে দেওয়াল!
স্থানীয় মানুষের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। জিন্দল গোষ্ঠীর ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রোজেক্ট) গুলশনকুমার সাইনি বলেন, “গরু চরানোর জন্য স্থানীয় কিছু মানুষ দেওয়াল ভেঙেছে। যাতে এরকম না ঘটনা ঘটে সে জন্য স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি।” বিষয়টিকে এতটা সাধারণ বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক নেতারা। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “এই সুযোগে সিপিএম এলাকার মানুষকে উস্কে দিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। যাতে না হয়, সে জন্য এলাকার দলীয় কর্মীদের সচেতন থাকতে বলেছি।” কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নিবেদিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এ দিকে সকলেরই নজর রাখা প্রয়োজন সামান্য ঘটনাই পরে বড় আকার নিতে পারে।” এতদিন প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানা এলাকার আশপাশের গ্রামের মানুষের গোচারণ ভূমির অভাব ছিল না। মাঠে রয়েছে ফসল। ফলে গরু চরানো হবে কোথায় তা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্তি, বর্তমানে জিন্দলেরা মোট জমির অতি ক্ষুদ্র অংশে আবাসন তৈরির কাজ শুরু করেছে। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার একর জমির বাকিটা পতিত রয়েছে। ওই এলাকাটিই গোচারণ ভূমি হিসাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেন সকলে। কিন্তু গরু, মোষ, ছাগল নিয়ে যেতে প্রাচীরের কিছুটা করে অংশ ভেঙে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষজন। প্রথমে একটি জায়গা দিয়ে শুরু হলেও এখন তা বাড়ছে। বর্তমানে বরজু, বাঁধঘুটু, সীতানাথপুর, ঘাঘরাশোল, বাঁশকোপনা সহ ৭টি জায়গাতে এমন প্রাচীর ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। যা দেখে চিন্তায় পড়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। শীঘ্রই এলাকার মানুষকে নিয়ে আলোচনায় বসার পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁরা। |
|
|
|
|
|