থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে গৃহস্থের বাড়িতে দিনেদুপুরে তালা ভেঙে ঢুকে আলমারি থেকে নগদ টাকা এবং গয়না নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনার সময় অবশ্য বাড়িতে কেউ ছিলেন না। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির মগরার সুকান্তপল্লিতে। তদন্ত শুরু করলেও রাত পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সুকান্তপল্লিতে ক্ষুদিরাম মল্লিকের বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। ভিতরে ঢুকে আলমারি খুলে বেশ কয়েক হাজার টাকা নগদ এবং কয়েক ভরি সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। ওই সময়ে ক্ষুদিরামবাবু কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী দীপাদেবী ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন। ফলে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ দীপাদেবী বাড়ি ফিরে দেখেন, দরজা হাট করে খোলা। দরজায় লাগানো তালা ভাঙা অবস্থায় নীচে পড়ে রয়েছে। তিনি বলেন, “ভিতরে ঢুকে দেখি, ঘরময় জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আলমারি খোলা। সর্বস্ব নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।” ওই দৃশ্য দেখে দীপাদেবী চিৎকার করতে শুরু করেন। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে আসে।
ওই ঘটনায় এলাকার লোকজন শঙ্কিত। মগরা থানা থেকে ক্ষুদিরামবাবুর বাড়ির দূরত্ব বড়জোর ২০০ মিটার। অথচ দুষ্কৃতীরা দিনেদুপুরে একটি বাড়ির তালা ভেঙে যে ভাবে সর্বস্ব নিয়ে গেল, তাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” |