এক দফা গম কেলেঙ্কারির জের কাটতে না-কাটতেই ফের ‘বিতর্কিত’ গম আটক। শুক্রবার বিকেলে বন্দর এলাকা থেকে ২৩০০ টন গম বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখা এবং খাদ্য দফতর। ডিসি (এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ) দেবব্রত দাস জানান, কাঁটাপুকুর এলাকার ওই গুদামটি একটি বেসরকারি সংস্থা ভাড়া নিয়েছিল। সেখান থেকেই গম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আটক গমের বাজারদর দু’কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
এ দিন বাজেয়াপ্ত করা গম গণবণ্টন ব্যবস্থায় বিতরণের জন্য নির্দিষ্ট ছিল কি না, তা নিয়ে বিতর্ক বেধেছে। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রের খবর, কাঁটাপুকুরের ওই গুদামটি আদতে এফসিআই বা খাদ্য নিগমের। একটি বেসরকারি সংস্থা সেটি ভাড়া নিয়েছিল।
এ দিন আটক করা গমও এফসিআইয়ের। গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে তা বিলি করার কথা। কিন্তু তা কী ভাবে বেসরকারি হাতে চলে গেল, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এ দিনের ঘটনার সঙ্গে ২৮ জুলাইয়ের গম উদ্ধারে তল্লাশি অভিযানের সম্পর্ক থাকতে পারে। তবে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “বাজেয়াপ্ত করা গম সত্যিই গণবণ্টন ব্যবস্থার কি না, জানতে পারিনি। এ বিষয়ে রিপোর্ট পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” গত ২৮ জুলাই বিপিএল বা দারিদ্রসীমার নীচের বাসিন্দাদের বিতরণের জন্য নির্দিষ্ট ৪৫০০ টন গম বন্দর এলাকার জেটি থেকে বাংলাদেশে পাচার করার সময় আটকে দেয় এনফোর্সমেন্ট শাখা। সেই মামলায় এ-পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক হয়েছে ৩৬টি লরি এবং একটি বাংলাদেশি জলযান। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের খাদ্য দফতর তাদের অনুমোদিত তিনটি আটাকলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দেয়। ১৫ দিনের মধ্যে ফের একই এলাকা থেকে প্রচুর গম আটকের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গম কেলেঙ্কারির চক্র কতটা বড় এবং তাদের হাত কত লম্বা, সেই রহস্য ভেদ করতে চায় এনফোর্সমেন্ট শাখা। |