গ্রামে ফিরল মেঘালয়ে বাস দুর্ঘটনায় মৃত, বছর একুশের অভিজিৎ ঘোষের দেহ। শুক্রবার ভাতারের কর্জনা চটির বাড়িতে দেহ নিয়ে যাওয়া হলেও পরিজনেরা প্রথমে তা শনাক্ত করতে পারেননি। পরে চারটি আংটি দেখে দেহ শনাক্ত করা হয়। বুধবার মেঘালয়ের রুমঝুম থানা এলাকার সোনাপুরে যাত্রী বোঝাই বাস খাদে পড়ে গেলে ৩১ জনের মৃত্যু হয়। সদ্য একটি সফটঅয়্যার সংস্থায় যোগ দিতে যাওয়া অভিজিৎ তাঁদেরই এক জন। সন্ধ্যায় ক্ষতবিক্ষত দেহটি গ্রামে আনা হলেও তা ছেলের বলে মানতে চাননি অভিজিতের বাবা শুকদেব ঘোষ। পুলিশ আতান্তরে পড়ে যায়। একই দুর্ঘটনায় নিহত পটনার এক বাসিন্দার দেহও তাঁদের দেখানোর কথা ভাবে পুলিশ। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জার কথায়, “মৃতদেহটি মেঘালয়ের কিলারি মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ছিল। সেটি অভিজিতের সহকর্মীরা শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তের পরে সেটি কলকাতায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে ভাতারে আসে। ঘটনাস্থলে একটি ফাইল পাওয়া গিয়েছে। ওই ফাইলটি উনি সব সময়ে নিজের কাছে রাখতেন।” ভাতার থানার ওসি সঞ্জয় কুণ্ডু জানান, দুর্ঘটনায় মুখ বিকৃত হয়ে যাওয়ায় বাড়ির লোক প্রথমে দেহ চিনতে পারেননি। পরে হাতের চারটি আংটি দেখে দেহ শনাক্ত করে শেষকৃত্য করা হয়েছে।
|
ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় দেহ মিলল সনাতন মোদক (৬০) নামে এক ব্যক্তির। বৃহস্পতিবার পূর্বস্থলী ২ ব্লকের বিশ্বরম্ভা গ্রামের ঘটনা। একটি মিষ্টির দোকান ছিল তাঁর। বাড়ির লোকেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই পেটের অসুখে ভুগছিলেন তিনি। প্রায়ই যন্ত্রণাও হত। এ দিনও দোকানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেখানেই পেটে ছুরি ঢোকানো অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। প্রথমে চাঁদপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে নদিয়ার প্রতাপনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মারা যান তিনি। |