জমির উপর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা তৈরি হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। তা সত্ত্বেও সরকারি ক্ষতিপূরণ জোটেনি এখনও- এই অভিযোগ জানিয়ে ২৪ জন সরকারি আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়েছেন কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের উত্তর রামেশ্বরপুর গ্রামের এক চাষি। কেদারনাথ ঘোষ নামে ওই চাষির দাবি, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, জেলাশাসক, মহকুমাশাসক-সহ ২৪ জন সরকারি আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কয়েকটি সরকারি দফতর চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় কালনা ১ ব্লকের নান্দাই পঞ্চায়েতের খাঁপুর গ্রাম থেকে বেণপুর পঞ্চায়েতের বাঘাডাঙা পর্যন্ত ২৪ কিমি পাকা রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ২০০৫ সালে। রাস্তাটি তৈরির সময়ে একটি নয়ানজুলিও তৈরি করা হয়। কেদারবাবু অভিযোগে জানান, রাস্তা ও নয়ানজুলি তৈরিতে তাঁর নিজের নামে থাকা ৫২ শতক এবং স্ত্রী পারুল ঘোষের নামে থাকা ১২ শতক জমি নেওয়া হয়। |
কেদারবাবুর অভিযোগ, জমি নেওয়া হলেও কোনও ক্ষতিপূরণ মেলেনি। এবং দু’বিঘারও বেশি এই জমি থেকে ফসল না মেলায় রীতিমতো টানাটানিতে ভুগছেন তাঁরা। স্ত্রীর অসুস্থতায় টাকার টানাটানি আরও বেশি হচ্ছে। এছাড়া পুঁজির অভাবে সমুদ্রগড়ে রেডিমেড পোশাকের দোকানটিও চলছে না বলে জানান তিনি। তবে রাস্তা তৈরি করতে এলাকার অন্যান্য চাষিদেরও জমি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁরা ক্ষতিপূরণ নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ নন কেন? কেদারবাবু বলেন, “আর কারও এতটা জমি নেওয়া হয়নি। আমার মতো ক্ষতিও কারও হয়নি।” বিষয়টি শুনে কালনার মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি বলেন, “ওঁনার চিঠি এখনও আমার হাতে পৌঁছয় নি। পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।” নান্দাইয়ের প্রধান ইদের আলি মোল্লা বলেন, “কেদারবাবুর অভিযোগটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।” তাঁর আশ্বাস, পঞ্চায়েত এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত চাষির পাশে থাকবে। |