গাড়ির চালককে মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হলেন কালিয়াচকের বিডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী। বুধবার বিডিও এবং তাঁর স্ত্রী পৃথক ভাবে যথাক্রমে মুখ্যমন্ত্রী ও মহিলা কমিশনের কাছে ওই আর্জি জানিয়েছেন। বিডিও বলেন, “আমি চাই সত্য উদঘাটন হোক। নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীকে শনাক্ত করে শাস্তি দেওয়া হোক। যাঁরা আমার ও আমার স্ত্রীর মযার্দাহানি করেছে তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে।” মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “ওই অভিযোগের তদন্ত এগোচ্ছে। শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পাশাপাশি, গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিডিও অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন বিডিও-র স্ত্রী হেঁটে বাজারে গিয়েছিলেন। তিনি হেঁটে ফেরার সময়ে যানজটে আটকে যান। বিডিও-এর অভিযোগ, ৬ অগস্ট বেলা দেড়টা নাগাদ তাঁর স্ত্রী হেঁটে ফেরার সময়ে একটি ট্যাক্সির চালককে একটু পিছিয়ে চলার জায়গা করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। সেই সময়ে তাঁকে আক্রমণ করা হয়। বিডিও জানান, তাঁর স্ত্রী বেলা ৩ টে নাগাদ কালিয়াচক থানায় ছুটে যান। তখন থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে আমার স্ত্রী চালকের হামলার কথা বলার পরেও পুলিশ ব্যবস্তা নেয়নি বলে বিডিও-র অভিযোগ। তিনি বলেন, “মৌখিকভাবে আমার স্ত্রী অভিযোগ জানানোর পরই পুলিশকে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করা উচিত ছিল। কিন্তু পুলিশ তা করেনি।” বিডিও-এর দাবি, “মঙ্গলবার রাত ১০ থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত কালিয়াচক থানায় আমি বসেছিলাম। পৌনে বারোটা নাগাদ পুলিশ আমার ও আমার স্ত্রী অভিযোগ নেওয়ার সময় জানিয়েছিল চালক কোনও অভিয়োগ করেনি। অথচ পরদিন সকালে জানতে পারি, গত রাতে সাড়ে দশটার সময় নাকি ওই গাড়ির চালক আমার ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।” বিডিওর স্ত্রী বলেন, “আমি কোন অন্যায় করিনি। ওই গাড়ির চালক সবার সামনে আমাকে মারধর করে লাঞ্ছিত করল, অথচ আমার ও আমার স্বামীর বিরুদ্ধেই ওই চালক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। সুবিচারের আশায় মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য মহিলা কমিশনেরর কাছে ফ্যাক্স পাঠিয়েছি।” পুলিশ সুপার বলেন, “যখন যিনি অভিযোগ জানাতে এসেছেন, তখন তাঁদের অভিযোগ জমা নেওয়া হয়েছে। সেই মতো মামলা দায়ের করে তদন্ত হচ্ছে।” |