মোহরগাঁও-গুলমায় আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিল চাঁদমনি চা বাগান উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি ও প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কাস ইউনিয়ন। বুধবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই কথা জানান তারা। তাদের অভিযোগ, মোহরগাঁও-গুলমা চা বাগান সংলগ্ন ১৬০ একর জমি প্রায় ৮০ বছর ধরে আদিবাসীরা ব্যবহার করছেন। ১১৫ জন আদিবাসী পরিবার সেখানে চাষাবাদ করেন। সম্প্রতি মোহরগাঁও-গুলমা চা বাগান কর্তৃপক্ষ সে জমি তাঁদের বলে দাবি করে দখল করার চেষ্টা করেন। কয়েক দফায় তারা হামলা চালিয়েছেন। আদিবাসীদের কিছু সম্পত্তিও নষ্ট করেছেন বলে অভিযোগ। যদিও চা বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই জমি তাঁদের। সে সংক্রান্ত খতিয়ান তাদের রয়েছে। বর্তমানে চা বাগানের সীমানা বাড়িয়ে আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতেই তারা তা ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু কিছু বাসিন্দা তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। চাঁদমনি চা বাগান উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতা অভিজিৎ মজুমদার বলেন, “আইনকে অমান্য করে আদিবাসীদের জমি জোর করে দখলের চেষ্টা হচ্ছে। তাতে ওই আদিবাসী পরিবারগুলি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। এটা কখনই মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব।” প্রোগ্রেসিভ টি ওয়াকার্স ইউনিয়নের নেতা তেজকুমার টোপ্পো বলেন, “আমরা প্রশাসনের সমস্ত জায়গায় ইতিমধ্যে প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। ধারাবাহিক আন্দোলন হবে। অন্যায় মানা হবে না।” সেখানে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী রূপক মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, চোপড়া সহ কয়েকটি ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার আদিবাসীদের জমি সংক্রান্ত ব্যপারে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, “এ ব্যাপারেও তাঁরা আদিবাসীদের পাশে দাঁড়াবেন বলে আশা করছি।” |