শহরের উন্নয়ন কাজে গতি আনতে জোটের কাউন্সিলরদের ১০ দফা নিদান দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। বুধবার শিলিগুড়ি পুরসভার জোটের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে তা জানান তিনি। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পুর এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের বিষয়ে মেয়র-সহ তার পারিষদদের সঙ্গে আলোচনা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। জোটের ৩০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে এ দিন ২৭ জন উপস্থিত ছিলেন। এক জন অসুস্থ থাকায় ও এক জন শহরের বাইরে থাকায় আসতে পারেননি। পদত্যাগের জন্য একটি কাউন্সিলরের পদ বছরখানেকের বেশি সময় ধরে খালি। মেয়র-সহ অনেক মেয়র পারিষদ এবং কাউন্সিলররাই প্রথমবার পুর নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জিতেছেন। সে কারণে অভিজ্ঞতাও কাজে গতি আনার ক্ষেত্রে অনেক সময় বাধা হচ্ছে। তা কাটিয়ে গতি আনতে বিভিন্ন নিদান দিয়েছেন গৌতমবাবু। তিনি বলেন, “পুজোর আগেই যাতে রাস্তাঘাট, নিকাশি পরিষেবা উন্নয়ন করা যায় তা দেখা হবে। পর্যটকদের আনাগোনা সে সময় বেশি থাকায় পরিষেবার দিকটিও যাতে ভাল রাখা যায় তা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।” |
তিনি জানান, বিগত বাম বোর্ড ২১ কোটি টাকা ঋণের বোঝা চাপিয়ে গিয়েছে। তা ছাড়াও গাড়ির তেলের বিল, কলকাতার বেলেঘাটায় অতিথি নিবাস তৈরির ক্ষেত্রে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বিল বকেয়া রেখে গিয়েছে তারা। সেই সমস্যা কাটিয়ে, কাউন্সিলর এবং মেয়র পারিষদদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজে গতি আনতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর নিদানের মধ্যে রয়েছে, পুজোর আগে রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা করা, নিকাশির হাল ফেরানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রভৃতি। অনভিজ্ঞতার জন্য কোনও সমস্যা হলে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ নেওয়ার কথা এবং ভুল হলে সংশোধন করে এগোনোর কথা বলা হয়েছে। মন্ত্রীর অভিযোগ, শহরের জল সরবরাহ ব্যবস্থা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে বলেছেন তিনি। শহরের অবৈধ নির্মাণ নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উঠেছে। তাই এ ব্যাপারে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সর্বোপরি, বিরোধীদের মর্যাদা দেওয়া, উন্নত পরিষেবা দিতে সব সময় সচেষ্ট থাকা ও আন্তসন্তুষ্টিতে না ভোগার কথাও বলা হয়েছে। পুরসভার কাজ নিয়ে সম্প্রতি ডেপুটি মেয়র, চেয়ারম্যান, কংগ্রেস ও তৃণমূল কাউন্সিলরদের অনেকেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানান। বিব্রত হন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। জোটের কাউন্সিলরদের সমন্বয়ের অভাব নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এ দিন শঙ্করবাবু বলেন, “মেয়র-তাঁর পারিষদ এবং জোটের কাউন্সিলরদের মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে যাতে আরও ভাল কাজ করা যায় সে জন্য বৈঠকে আলোচনা হয়।” |