মন্ত্রক টাকা দেয়নি রাজ্যকে, ক্ষুব্ধ সৌগত |
নিজস্ব সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি |
কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সৌগত রায় এক বার প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে, তৃণমূলের প্রতিমন্ত্রীদের বাড়তি কোনও ‘কাজ’ দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু এ বার তাঁর নিজের মন্ত্রকের কাজ সম্পর্কেই তাঁকে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে বলে কার্যত অভিযোগ তুলতে হল সেই সৌগতবাবুকেই। সৌজন্যে, জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের অধীনে বাস কেনা। এই খাতে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পশ্চিমবঙ্গ যে কেন্দ্রের কাছ থেকে পায়নি, তা জানতেনই না সৌগতবাবু। বিষয়টিতে ক্ষুব্ধ সৌগতবাবু আজ চিঠি লিখে প্রতিবাদ জানালেন তাঁর মন্ত্রকের ক্যাবিনেট মন্ত্রী কমল নাথের কাছে। জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের অধীনে বাস কেনার জন্য পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্য ৭৬ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা এক বছর ধরে বাকি রেখে দিয়েছে কেন্দ্র। অথচ রাজ্য কিনে ফেলেছে নির্ধারিত ১৩০০টি বাস। এমনিতেই বিপুল ঋণের বোঝা রাজ্যের ঘাড়ে। তার উপর এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্টই চাপে রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। অথচ এ নিয়ে কার্যত অন্ধকারে সৌগতবাবু, যাঁর উপরে কি না গোড়া থেকেই এই জেএনএনইউআরএম প্রকল্পটির দায়িত্ব (শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশেরই) রয়েছে। সৌগতবাবু তাই কমল
নাথকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘জেএনএনইউআরএম-সংক্রান্ত সমস্ত ফাইলগুলি আমার মাধ্যমে যাওয়ার কথা। কিন্তু আমি জানি না, কেন তা যাচ্ছে না। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত এবং ব্যাপারটি দুর্ভাগ্যজনক। এই প্রকল্পের জন্য রাজ্যকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা এখনও দেওয়া হয়নি।’
গত কাল কলকাতার মহাকরণে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র এবং পরিবহণ সচিব। তাঁরা পরে সৌগতবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চান কেন কেন্দ্র টাকা দিতে বিলম্ব করছে। এর পর বিষয়টি খতিয়ে দেখে সৌগতবাবু বুঝতে পারেন, এই ব্যাপারে কেন্দ্র যে সব পদক্ষেপ করেছে তার কোনওটাই তাঁকে জানানো হয়নি। এমনকী কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন সচিব যে এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছেন, তা-ও তিনি জানেন না।
হতাশ সৌগতবাবু আজ জানিয়েছেন, “রাজ্যের ঘাড়ের উপর পাওনাদাররা নিঃশ্বাস ফেলছে। অথচ প্রাপ্য টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্য মোট ১৩০০টি বাস কিনেছিল। কেন্দ্রের দেওয়ার কথা ১৪৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ৬৮ কোটি ৫০লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তি কেন দেওয়া হচ্ছে না তা আমার কাছেও স্পষ্ট নয়!” |