সুন্দরাইয়াকে জেলায় নিয়ে যেতে চান বুদ্ধ |
মাইলের পর মাইল সাইকেল চালিয়ে এবং পায়ে হেঁটে মানুষের কাছে গিয়ে দল গড়ে তোলার কাজ করেছিলেন পুচালাপল্লি সুন্দরাইয়া। রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত সিপিএম এখন আবার দলের ভিত্তি বাড়াতে ‘মরিয়া’। এই পরিস্থিতিতে সুন্দরাইয়ার জীবন ও আদর্শ তাদের কাছে নতুন করে পাথেয় হয়ে উঠেছে। দলের প্রয়াত প্রথম সাধারণ সম্পাদকের জীবনের নানা কথা তাই প্রদর্শনী আকারে জেলায় জেলায় তুলে নিয়ে যেতে চাইছেন সিপিএম নেতৃত্ব। সেই প্রস্তাবের নেপথ্যে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের পলিটব্যুরো সদস্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
সুন্দরাইয়ার জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অঙ্গ হিসাবে তাঁর জীবনের উপরে প্রদর্শনী চলছে রাজ্য সিপিএমের দলীয় মুখপত্রের দফতরের পাঠাগারে। গোটা আয়োজন ঘুরে দেখে মন্তব্যের খাতায় বুদ্ধবাবু লিখেছেন, ‘প্রদর্শনীটি ভাল হয়েছে। জেলায় জেলায় নিয়ে যাওয়া দরকার’। সিপিএম সূত্রের ইঙ্গিত, বর্তমান প্রেক্ষাপটে জেলায় জেলায় প্রদর্শনী করার উপযোগিতা বুঝেই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করার ভাবনা চলছে। দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু মন্তব্যের খাতায় ব্যাখ্যা করেছেন, নতুন প্রজন্মের কমিউনিস্ট আন্দোলনের কর্মী ও সমর্থকদের কাছে ‘কমরেড পি এসে’র জীবন-কথা কী ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সেই জন্যই কলকাতার এই প্রদর্শনীকে অ্যালবামের চেহারা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। একই প্রস্তাব এসেছে সিটুর রাজ্য সভাপতি তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শ্যামল চক্রবর্তীর কাছ থেকেও। প্রসঙ্গত, সুন্দরাইয়ার জীবনের নানা পর্বের (বিশেষত তেলেঙ্গানা আন্দোলন) আলোকচিত্র এবং তাঁর কিছু লেখা নিয়ে কলকাতায় ওই প্রদর্শনী চলার কথা আগামী শনিবার পর্যন্ত।
|
ছত্রধরদের রাজনৈতিক বন্দি করাই উচিত, জানাল হাইকোর্ট |
নিম্ন আদালতে ছত্রধর মাহাতো, গৌর চক্রবর্তী, বেঙ্কটেশ্বর রেড্ডি-সহ সাত জনকে রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা দেওয়ার আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট অবশ্য বুধবার জানিয়ে দিয়েছে, ওই সাত জনেরই রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা পাওয়া উচিত। ওঁরা দু’বছরেরও বেশি জেলে রয়েছেন। অভিযোগ, জনগণের কমিটি মাওবাদীদের প্রকাশ্য সংগঠন এবং ছত্রধর-সহ কমিটির ওই নেতারা মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা চেয়ে ওই নেতারা আগে মেদিনীপুর ও আলিপুর আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। তার পরে তাঁরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। আবেদনকারীদের আইনজীবী শুভাশিস রায় এ দিন হাইকোর্টে বলেন, পুলিশের অভিযোগ থেকেই দেখা যাচ্ছে, এঁরা সকলেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। একটি বিশেষ রাজনৈতিক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করতেন এঁরা। এণদের বিরুদ্ধে অন্য কোনও অপরাধের অভিযোগ নেই। তাই অন্য অপরাধীদের সঙ্গে এঁদের মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। আবেদনকারীদের এবং পুলিশের বক্তব্য শোনার পরে বিচারপতি কনোয়ালজিৎ সিংহ অহলুওয়ালিয়া রায় দেন, রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা থেকে আবেদনকারীদের বঞ্চিত করা যায় না। ওই সাত জনেরই রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা পাওয়া উচিত। আইনজীবীরা জানান, হাইকোর্টের এই রায় নিম্ন আদালতে পৌঁছলেই নিম্ন আদালত ধৃতদের রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ দেবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
|
৪০০ মোবাইল জেলে, বদলি ১২ জন সুপার |
জেলের মধ্যে বন্দিদের হাতে মোবাইল সরবরাহের বিরাম নেই। গত চার মাসে রাজ্যের বিভিন্ন জেলে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৪০০টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে গত মাসেই রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষ এবং স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের ১২টি জেলের সুপারদের বদলি করার নির্দেশ দিয়েছে কারা দফতর। ওই দফতর সূত্রের খবর, মোবাইল-কাণ্ডের জেরে কলকাতার প্রেসিডেন্সি, আলিপুর মহিলা জেল, জলপাইগুড়ি, বহরমপুর, পুরুলিয়া, আসানসোল, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, বর্ধমান, বাঁকুড়া, সিউড়ি এবং কৃষ্ণনগর জেলের সুপারদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইজি (কারা) রণবীর কুমার অবশ্য দাবি করেছেন, ১২টি জেলের সুপারদের রুটিনমাফিক বদলি করা হচ্ছে। তবে তিনি বলেন, “জেলে পরের পর মোবাইল উদ্ধারের ঘটনায় প্রশাসন উদ্বিগ্ন। পুলিশ এই নিয়ে তদন্ত করছে। তদন্তে জেল প্রশাসনের কোনও কর্মী দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
পড়ুয়াদের জন্য গানবাজনা ও নাচের কর্মশালা |
পড়াশোনার বাইরে ছাত্রছাত্রীদের একটু ‘অন্য রকম’ শিক্ষার স্বাদ দিতে গান, নাচ, বাজনা ইত্যাদির কর্মশালার আয়োজন করেছে রাজ্য সর্বশিক্ষা মিশন। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘স্পিকম্যাকে’ এই কর্মশালায় সর্বশিক্ষা মিশনের সহযোগী। শুধু ওই সব শিক্ষা নয়, যোগ এবং অন্য নানা ধরনের কাজও শেখানো হবে কর্মশালায়। চেতলা গার্লস স্কুলে বুধবার ‘আনন্দধারা’ নামে পাঁচ দিনের ওই কর্মশালার উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। দু’শোরও বেশি স্কুলের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির প্রায় ৭০০ ছাত্রছাত্রী এই কর্মশালায় যোগ দিয়েছে। কলকাতার পরে রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও একই ধরনের কর্মশালার আয়োজন করা হবে বলে সর্বশিক্ষা মিশনের তরফে জানানো হয়েছে।
|
চার দফা দাবিতে ২১ অগস্ট থেকে রাজ্য জুড়ে ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন। |