ডিওয়াইএফ-এর সদস্যসংখ্যা কমে গেল ৪০ লক্ষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
একদিকে সিপিএম দলে যুব নেতাদের তুলে ধরার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে তিন বছরে দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্য কমেছে ৪০ লক্ষ!
২০০৮ সালে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৭ লক্ষ। ২০০৯-এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট রাজ্যে সিংহভাগ আসন দখলের পর তা কমতে শুরু করে। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৫৭ লক্ষ ৫০ হাজার। প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সদস্যপদ নবীকরণ ও নতুন সদস্য সংগ্রহ হয়। এ বছর এখনও পর্যন্ত সদস্য হয়েছেন ২৬ লক্ষ যুবক-যুবতী।
কেন এ ভাবে সদস্যসংখ্যা কমল? ২৬-২৯ অগস্ট বাঁকুড়ায় রাজ্য সম্মেলনের আগে সংগঠনের সম্পাদক আভাস রায়চৌধুরীর যুক্তি, “সন্ত্রাসের কারণে ১১ টি জেলায় সদস্য সংগ্রহের কাজ ঠিক মত করা যাচ্ছে না।” সিপিএমের একাংশ কিন্তু মনে করেন, বামেরা ক্ষমতায় থাকার সময়ে সুযোগ-সুবিধার পাওয়ার আশায় বিপুল সংখ্যক যুবক-যুবতী ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্য হয়েছিলেন। তাঁরা বাম রাজনীতির প্রতি ‘আকৃষ্ট’ হয়ে সংগঠনে আসেননি। স্বাভাবিক ভাবেই ২০০৯ সাল থেকে তাঁরা আর সদস্যপদ নবীকরণ করাননি। এই যুক্তি সঠিক কিনা তা নিয়ে রাজ্য সম্মেলনে আলোচনা হবে বলে আভাসবাবু জানান। ২০০৯-এর ধাক্কায় যুবদের সদস্যসংখ্যা কমেছিল প্রায় ১৯ লক্ষ। ২০১০ সালে তা সামান্য বাড়লেও ২০১১-য় তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর যুবদের সদস্যসংখ্যা ৩০ লক্ষেরও বেশি কমে যায়। এ বছর শেষ পর্যন্ত তা কত দাঁড়াবে তা এখনই অনুমান করতে পারছেন না যুব নেতারা। তবে সংখ্যাটি যাতে ৫০ লক্ষের নিচে না নামে, তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। বাঁকুড়া, বর্ধমান, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, দুই দিনাজপুরে সন্ত্রাসের কারণে সদস্য সংগ্রহের কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে আভাসবাবুর অভিযোগ। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “বাঁকুড়ার ইন্দাস ও পাত্রসায়রে এক লক্ষ এবং গোঘাটে এক লক্ষ সদস্য ছিল। কিন্তু সন্ত্রাসের কারণে কোথাও সদস্যপদ নবীকরণ করা যাচ্ছে না।’’ জনসভার মধ্যে দিয়ে বাঁকুড়ায় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বিভিন্ন সময়ে নিরুপম সেন এবং বিমান বসু উপস্থিত থাকবেন। |