|
|
|
|
টাকি কলেজে ঘেরাও অধ্যক্ষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
ফের টাকি কলেজের শিক্ষকদের দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্র পরিষদ। এর আগে গত শনিবার ৯ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে। নিজেদের নিরাপত্তা এবং কলেজের পঠনপাঠনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে সোমবার কলেজের শিক্ষকেরা বিকাশ ভবনে গিয়ে শিক্ষা অধিকর্তা অনীশ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। বুধবার শিক্ষা দফতর থেকে দুই সদস্যের একটি দল টাকি কলেজে যান। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বিক্ষোভকারীরা তাঁদের হাতে ১৪ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়ার পরে ঘেরাওমুক্ত হন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাপস সাহা। এই ঘটনায় অবশ্য শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনসিসিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে গণ্ডগোল চলছিল টাকি কলেজে। গত শনিবার ওই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কলেজে ভাঙচুর, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের রাত ৯টা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখা হয়। নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ তুলে সোমবার শিক্ষকেরা বিকাশ ভবনে শিক্ষা অধিকর্তার কাছে গিয়েছিলেন শিক্ষকেরা।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নারায়ণ সাহা বলেন, “কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নয়। কলেজে একটা অসুস্থ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় আমরা নিরাপত্তার অভবা বোধ করছি। তা জানাতেই বিকাশ ভবনে গিয়েছিলাম।”
এ দিকে, ও দিন শিক্ষকেরা বিকাশ ভবনে যাওয়ায় কোনও ক্লাস হয়নি। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করতে না পেরে ফিরে যান। তারই প্রতিবাদে এ দিন দুপুর থেকে শিক্ষকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র পরিষদ। তার জেরে এ দিনও অধিকাংশ ক্লাস হয়নি।
ছাত্রপরিষদ নেতা রাজীব বিশ্বাস বলেন, “নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও তৃণমূলের কথায় হঠাৎ করে এনসিসি-তে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হল। ছাত্রছাত্রীদের কথা না ভেবে কলেজ খোলা রেখেই শিক্ষকেরা আমাদের বিরুদ্ধে নালিশ করতে বিকাশ ভবনে গিয়েছেন। এ ভাবে কি কলেজে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়! প্রতিবাদে এ দিন শিক্ষকদের ঘেরাও করে দাবিগুলি শিক্ষাকর্তাদের জানানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|