একশো মিটারে ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম সময় করার পরে তাঁকে ঘিরে এখন একটাই জল্পনা। দু’শো মিটারে নতুন বিশ্বরেকর্ডটা হবে, না হবে না? অলিম্পিকের ইতিহাসে ‘ডাবলের ডাবল’ আজ পর্যন্ত কোনও অ্যাথলিট করে দেখাতে পারেননি। বেজিংয়ের পর লন্ডনেও একশো এবং দুশো মিটারে সোনা জিততে পারলে বিশ্বের প্রথম অ্যাথলিট হিসেবে এই নজির গড়বেন বোল্ট।
জামাইকান স্প্রিন্টার নিজে অবশ্য এই ব্যাপারটায় মাথা দিতে একেবারেই রাজি নন। দু’শো মিটার সেমিফাইনালে নামার আগে উসেইন বোল্ট বলে দিয়েছিলেন, “বিশ্বরেকর্ড নিয়ে ভাবছি না। আমার এখন একমাত্র টার্গেট এই ইভেন্টেও অলিম্পিক সোনাটা জেতা। তার সঙ্গে যদি বিশ্বরেকর্ডও হয়ে যায় সেটা হবে উপরি পাওনা।” আর সহজেই পৌঁছে গেলেন ফাইনালে। তাঁর সময় ২০.১৮ সেকেন্ড। আবার স্বদেশীয় ইয়োহান ব্লেকের সময় ২০.০১ সেকেন্ড। সেমিফাইনালে এটাই সেরা সময়। দ্বিতীয় সেরা সময় স্পিয়ারম্যান ওয়ালেস (২০.০২ সেকেন্ড)। |
|
|
সেমিফাইনালে: ২০.১৮ সেকেন্ড |
সেমিফাইনালে: ২০.০১ সেকেন্ড |
|
বিশেষজ্ঞরা স্বভাবতই মনে করছেন বোল্ট এখানেও নিজের সেরাটা দেননি। তুলে রেখেছেন ফাইনালের জন্য। যদিও পরিচিত ছন্দ, লম্বা লম্বা ‘স্ট্রাইড’ এবং শোম্যানশিপসবই ছিল সেমিফাইনালে। প্রথম হিটের মতো এখানে অন্তত ‘জগ’ করে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছননি বোল্ট। বিশ্বের দ্রুততম মানুষকে দেখে মনে হয়েছে, একশো মিটারের মতোই আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছেন। আরও গুরুত্বপূর্ণ, দুশো মিটার দৌড় বোল্টের সবচেয়ে প্রিয় ইভেন্ট। সেই ইভেন্টে যে তিনি নিজেকে নিংড়ে দেবেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। প্রসঙ্গত, এই ইভেন্টে বিশ্বরেকর্ডও বোল্টের দখলে। ১৯.১৯ সেকেন্ড। কিন্তু বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা সময় সতীর্থ ব্লেকের। সময় ১৯.২৬।
অলিম্পিক-অমরত্বের খোঁজে নামা জামাইকান বিস্ময় ভাল করে জানেন, একশোর পরে দু’শো মিটারেও তাঁর বুকে ওই পদকটাই ঝুলতে দেখতে চায় গোটা বিশ্ব। আর না পারলে আবার শুরু হবে সমালোচনা। তবে অকল্পনীয় কোনও অঘটন ছাড়া বৃহস্পতিবার দু’শো মিটারের ফাইনালেও বোল্ট-বনাম ব্লেক গতির লড়াই হচ্ছেই। এবং সেই লড়াই জেতার একটা স্থির প্রতিজ্ঞা দেখা যাচ্ছে পঁচিশ বছরের স্প্রিন্টারের চোখে। বোল্ট জানেন, ইতিহাসে তিনি নিজেকে নিজের সময়ের সেরা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন। এখন বাকি বিশ্বের সর্বকালের সেরা অ্যাথলিট হিসেবে নিজের নামটা অলিম্পিক ইতিহাসে চিরস্থায়ী করে ফেলা। |