এসএফআইয়ের সম্মেলনে এসে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
এসএফআইয়ের দু’দিন ব্যাপী পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন উপলক্ষে বুধবার পাঁশকুড়া রেলস্টেশনের কাছে পুরনো বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্য সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব, এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রায় এক ঘণ্টার বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করার পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা। সূর্যবাবু বলেন, “শুধু বামপন্থী নয়, সাধারণ মানুষদের উপরে হামলা হচ্ছে। নারীদের আক্রমণ করা হচ্ছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে খুন করছে তৃণমূলেরই গুন্ডা। এমনকী পুলিশেরও নিরাপত্তা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো পুলিশকে চড় মারলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।” তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে কি নিরাপদ? আজ উনি বেলপাহাড়িতে গিয়েছেন। আগের চেয়ে দেড় গুণ বেশি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করে। |
সভায় সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
জঙ্গলমহলে সত্যিই শান্তি ফিরলে নিরাপত্তার এত আয়োজন কেন?” সূর্যবাবুর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী বেলপাহাড়ি গিয়ে বলছেন শিল্প হবে। তবে, কলকারখানা নয়, পর্যটন শিল্প। বিদেশি পর্যটকেরা এসে নাকি গরিব মানুষদের বাড়িতে খাবে। এটা সরকার চলছে না সার্কাস?” নন্দীগ্রাম-মামলার ইচ্ছাকৃত ভাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে বলে এ দিনও অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, “রাজ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এ বার ফলমূলের মতো বাজার থেকে শিক্ষা কিনতে হবে।” আর রবীন দেব প্রশ্ন তোলেন, “ওদের যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী, টিএমসিপি-র শঙ্কুদেব পণ্ডাকে কোন সম্মেলন থেকে মনোনীত করা হয়েছে? ওদের নেত্রী যা বলেন, তাই হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলে কিছু নেই তৃণমূলে।” ঋতব্রত অভিযোগ করেন, “১ বছর অন্তর কলেজের ছাত্রসংসদের নির্বাচন করার কথা বলা হচ্ছে। এই ভাবেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভাঙার চেষ্টা চলছে রাজ্যে।” তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী তিন মাস অন্তর জঙ্গলমহলে যাচ্ছেন, আর ২৫টা করে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। বলছেন আরও দেবো। বাস্তবে কোনও কাজই হচ্ছে না।”
৩১তম জেলা সম্মেলনে প্রায় সাড়ে তিনশো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। পাঁশকুড়া বিডিও অফিস সংলগ্ন কমিউনিটি হলে সম্মেলন চলবে আজও। |