নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ডেবরা কলেজের সামনেই প্রহৃত হলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) দুই কর্মী। ওই দুই ছাত্রের নাম অভিজিৎ ঘোষ ও সুরজিৎ চন্দ্র। টিএমসিপি’র অভিযোগ, এসএফআই ও ছাত্র পরিষদের (সিপি) কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের মারধর করেছে। অভিযোগ উড়িয়ে সিপি’র বক্তব্য, অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করতে গিয়ে উত্তেজিত স্থানীয় যুবকেরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
অনার্সে ভর্তি করে দেওয়ার নাম করে ডেবরা কলেজে একাধিক ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপি’র বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষের স্ট্যাম্প-সহ রসিদ জাল করার অভিযোগও উঠেছে। কলেজের পরিচালন কমিটি মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক করেছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানানো হবে। ওই জাল রসিদও পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হবে। পুলিশই তদন্ত করবে। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রসংসদের প্রতিনিধি প্রশান্ত নায়েককে ‘শো-কজে’র সিদ্ধান্ত হয়।
ইতিমধ্যেই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে এসএফআই, ছাত্র পরিষদ, ডিএসও’র মতো ছাত্র সংগঠন। ডেবরা কলেজের অধ্যক্ষ গোপালচন্দ্র বেরার সঙ্গে দেখা করে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে ছাত্র পরিষদের এক প্রতিনিধিদল। এরই মধ্যে বুধবার দুপুরে সিপি ও এসএফআইয়ের কয়েকজন কর্মী-সমর্থকের সঙ্গে টিএমসিপি কর্মীদের বচসা বাধে। পরে দু’পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। জখম হন অভিজিৎ ঘোষ ও সুরজিৎ চন্দ্র নামে টিএমসিপি’র দুই কর্মী।
টিএমসিপি’র ডেবরা ব্লক সভাপতি প্রদীপ কর বলেন, “এসএফআই ও সিপি যৌথ ভাবে হামলা করেছে। আমাদের দু’জন কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।” অভিযোগ উড়িয়ে সিপি’র জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “টিএমসিপি কর্মীদের একাংশ অনৈতিক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন। স্থানীয় যুবকেরাই উত্তেজিত হয়ে তাঁদের মারধর করেছেন বলে শুনেছি।” স্থানীয় যুব কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীশ ভট্টাচার্যের মন্তব্য, “এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ অনৈতিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করেছেন।” উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তবে বিকেলের দিকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। |