|
|
|
|
একটানা কুড়ি দিন ধরে জ্বলছে পথবাতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দননগর |
টানা কুড়ি দিন ধরে আলো জ্বলছে দিন-রাত জুড়ে। স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরে জানিয়েও আলো বন্ধ করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি চন্দননগর পুরনিগম এলাকার ২৭নং ওয়াডের্র গৌরহাটির।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছু দিন আগে এলাকার একটি বাতিস্তম্ভে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে। এরপর থেকে ওই স্তম্ভের বিদ্যুৎবাহী তারগুলি একত্রিত হয়ে গিয়ে বিপজ্জনক ভাবে ঝুলছে। তার ফলে একটা তারের সাথে আর একটা তারের ঘর্ষণে শর্টসার্কিট হয়ে যাচ্ছে। তারপর থেকেই রাস্তার আলো বন্ধও হচ্ছে না। তা ছাড়াও, দুর্ঘটনাট ঘটার পর থেকে বিদ্যুৎ স্তম্ভটি একই ভাবে পড়ে আছে। গৌরহাটি এলাকার সিইএসসি-এর অধীনস্থ জিটি রোডের প্রায় ১ কিমি রাস্তায় ২০ দিন ধরে আনুমানিক ২৫টি বাতিস্তম্ভের আলো দিন-রাত একনাগাড়ে জ্বলছে। স্থানীয় সিইএসসি কলসেন্টারে জানিয়ে কোন ফল পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্তমানে বিদ্যুতের এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে এ ভাবে বিদ্যুতের অপচয় মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই। |
|
—ছবি: তাপস ঘোষ। |
চন্দননগর পুরনিগমের ২৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বরূপ ঘোষ বলেন, “টানা কুড়ি দিন ধরে রাস্তার আলোগুলি যে ভাবে জ্বলছে, তাতে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। এলাকার সিইএসসি এর বিদ্যুৎ দফতরে বারংবার জানিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না। গত ৪ অগষ্ট স্থানীয় সার্ভিস সেন্টারে অভিযোগ ‘ডকেট’ করেছিলাম। সেখান থেকে জানানো হয়, ঘটনাটি জেলা দফতরে জানানো হয়েছে। যা ব্যবস্থা নেওয়ার তারাই নেবে। কিন্তু জেলা দফতরে ফোন করলে কেউ ফোন ধরছে না।”
সিইএসসি-র স্থানীয় দফতরের সাথে যোগাযোগ করলে তাঁরা জানান, বিষয়টি জেলা দফতরে জানানো হয়েছে। তারা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন।
চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্ত্তী জানান, “ব্যাপারটি আমার জানা ছিল না। তবে আমাদের পুরনিগম এলাকার মধ্যে হলেও রাস্তার আলোর দায়িত্ব সিইএসসি-র। তাদের ব্যর্থতার কারণেই এই ভাবে বিদুতের অপচয় ঘটছে।” |
|
|
|
|
|