ফোন করে মালিককে ডেকে ট্রেনের ভিতর কুড়িয়ে পাওয়া ল্যাপটপ ফেরত দিলেন কাটোয়া শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের এক শিক্ষক। বুধবার দুপুরে শঙ্কর সিংহ নামে ওই শিক্ষক স্কুল চত্বরে ল্যাপটপটি তুলে দেন হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা অনির্বাণ ধরের হাতে। অনির্বাণবাবু বলেন, “ল্যাপটপটিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে। ফিরে পাব ভাবিনি। শঙ্করবাবুর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।”
নদিয়ার নবদ্বীপের পোড়ামাতলার বাসিন্দা শঙ্করবাবু জানান, স্কুল থেকে প্রতিদিন তিনি রাত ৯টার কাটোয়া-ব্যান্ডেল লোকাল ধরে বাড়ি ফেরেন। মঙ্গলবারও ফেরার পথে অগ্রদ্বীপ স্টেশন পেরনোর পরে শঙ্করবাবু দেখেন কামরায় একটি কালো রঙের ব্যাগ পড়ে রয়েছে। |
খোঁজাখুঁজি করেও তিনি ব্যাগের মালিকের খোঁজ পাননি। ব্যাগটি নিয়ে নবদ্বীপ স্টেশনে নেমে পড়েন তিনি। ব্যাগ খুলে দেখেন সেটিতে একটি ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, কিছু টাকা-সহ গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে। জমা দেওয়ার জন্য নবদ্বীপ স্টেশন জিআরপি ফাঁড়িতে যান। তিনি বলেন, “জিআরপি ব্যাগটি আমার কাছেই রাখার পরামর্শ দেন। আমার নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানা লিখে নেন তাঁরা।”
শঙ্করবাবু জানান, রাতে বাড়ি ফিরে ব্যাগ খুলে তিনি অনির্বাণবাবুর নাম ও ফোন নম্বর পান। ফোন করে তাঁকে ল্যাপটপ কুড়িয়ে পাওয়ার কথা জানান তিনি। বুধবার স্কুলে এসে ল্যাপটপটি ফেরত নিয়ে যেতে বলেন তাঁকে। বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে ওই স্কুলে চলে যান কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী অনির্বানবাবু। তিনি বলেন, “প্রতি দিনের মতো এ দিনও বিকেল ৫টা নাগাদ হাওড়া থেকে কাটোয়া লোকালে চাপি। ব্যাগটি না নিয়েই কোন্নগরে নেমে পড়েছিলাম। রাতে শঙ্করবাবুর ফোন পেয়ে স্বস্তি পাই।” রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮টা ৩৫ নাগাদ কাটোয়া স্টেশনে পৌঁছয় ট্রেনটি। রাত ৯টা থেকে কাটোয়া-ব্যান্ডেল লোকাল হিসেবে কাটোয়া থেকে ছাড়ে ট্রেনটি। |