বাড়ি থেকে কলেজ দূরে হওয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান না অনেক পড়ুয়াই। রাজ্যের একটি শিক্ষা মানচিত্র তৈরি করে কোথায় কলেজ রয়েছে, কোথায় নেই তা দেখা হচ্ছে বলে জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ প্রেক্ষাগৃহে একটি আলোচনাচক্রে তিনি বলেন, “একটি কলেজ থেকে তার নিকটবর্তী অন্য কলেজের দূরত্ব কত, সেই তথ্য নিতে গিয়ে আমরা দেখেছি, রাজ্যে আরও অন্তত ২০০ কলেজ তৈরি করতে হবে। কিন্তু এত কলেজ তৈরির মতো অর্থ আমাদের হাতে নেই। তা হলেও কাজটা করতে হবে।”
এ দিন দুপুরে ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত এই আলোচনাচক্রে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, বনমন্ত্রী হিতেন বর্মণ ও কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। |
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নয়নমূলক নানা কাজে টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার বলেন, “পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। বিশেষত, তরুণ প্রজন্মকে বদলে যাওয়া পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সামিল হতে হবে।”
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা চাই শিক্ষাক্ষেত্র দলতন্ত্রমুক্ত হোক। মানুষ একটা দলতন্ত্রকে বিদায় দিয়েছে। আমরা আর নতুন করে শিক্ষাক্ষেত্রকে দলদাসে পরিণত করব না। এ কথা আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক দিন ধরেই বলছেন।” তিনি আরও বলেন, “সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা উন্নয়নের জন্য টাকা দেব। কিন্তু সে টাকা কী ভাবে ও কোন খাতে কতটা পরিমাণে খরচ হচ্ছে, তার সবিস্তার হিসেব আমাদের পাঠাতে হবে। দফতরেও হিসেব তৈরি রাখতে হবে। কোনও ছাত্র, শিক্ষক বা অভিভাবক যাতে এই হিসেব চাওয়ামাত্র দেখতে পান, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।”
শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁরা আমূল পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন জানিয়ে ব্রাত্যবাবুর মন্তব্য, “বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আসানসোল, কলকাতা ও উত্তরবঙ্গে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলছি। কিন্তু আমরা চামড়া ব্যবসায়ী, ভুট্টা ব্যবসায়ী বা খৈনি ব্যবসায়ীদের টাকায় কোনও কলেজ তৈরি করব না। তাদের সঙ্গেই এই কাজ করা হবে, যারা শিক্ষাক্ষেত্রে জড়িয়ে রয়েছে।” প্রয়োজনে প্রসিডেন্সির মতো বর্ধমানেও ‘মেন্টর গ্রুপ’ তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি। |