বাড়ির সামনে ডাস্টবিনে ফেলে রাখা একটি ট্রাঙ্ক থেকে পচাগলা এক মহিলার দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। জামুড়িয়ার শ্রীপুর ফাঁড়ি এলাকার নিঘা নিচু সেন্টার এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম দোলসী মুনিয়া (৩৮)। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনদিন ধরেই দোলসীদেবীর দেখা মিলছিল না। বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, ডাস্টবিনের কাছে একটি টিনের বাক্স ফেলা আছে। তা থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তারাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে বাক্স খুলে দোলসী দেবীর দেহ উদ্ধার করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দারা জানান, এই ফাঁড়ি এলাকার ডিভিসি মোড় থেকে বোগড়াচটি, বেনালী, নিঘা, শ্রীপুর ইত্যাদি অঞ্চলে অবৈধ মদের কারবার রমরমিয়ে চলছে। দোলসী দেবীও নিজের ঘর থেকে মদ বিক্রি করতেন বলে জানা গিয়েছে। দোলসীদেবীর বোন কুলটির বাসিন্দা আনারদেবী পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দোলসী দেবীকে বিয়ে করেন সাধু নুনিয়া। প্রথম পক্ষের মেয়েকে দোলসী দেবীই বড় করে বিয়ে দেন। ওই মেয়ে বিহারে তাঁদের নিজেদের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। মেয়ের দুই ছেলে দোলসীদোবীর কাছে থেকেই পড়াশোনা করছিলেন।
দোলসী দেবীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর বড় নাতি ১৬ বছরের সোনুর দেখা মেলেনি। পুলিশের সামনে তাঁর ছোট নাতি রাজেশ বলে, “রবিবার রাত থেকে দিদিমার দেখা পাচ্ছি না। বুধবার ভোরে আমার দাদা সোনু এবং বন্ধু সন্দীপকে এই টিনের বাক্সটি ঘর থেকে টেনে বাইরে নিয়ে যেতে দেখেছি। সোমবার সকাল থেকেই দেখছি, ওই বাক্স রাখা সমস্ত জামাকাপড় বাইরে বের করে রাখাছিল।” পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। |