রোহিণীর রাস্তা সারাই শুরু
রাস্তার একটি অংশে ধসে যাওয়ায় অন্তত এক মাস রোহিণী দিয়ে দার্জিলিং যাতায়াত বন্ধ থাকবে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই অবশ্য জেলা প্রশাসনের একটি দল ওই ভাঙা রাস্তা মেরামতির কাজে হাত দিয়েছে। আপাতত বোল্ডার এবং লোহার জাল দিয়ে রাস্তাটি সাময়িক ভাবে মেরামতির চেষ্টা চলছে। রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছোট গাড়িগুলি পাঙ্খাবাড়ি হয়ে দার্জিলিং যাতায়াত করছে। বড় গাড়িগুলি মিরিক দিয়ে যাতায়াত করছে। সোমবার সন্ধ্যায় কার্শিয়াংয়ের জিরো পয়েন্টের কাছে প্রায় ২০ মিটার রাস্তা ধসে যায়। সেই সময় থেকেই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “মেরামতি শুরু হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা যান চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে। একটি রিপোর্ট মহকুমা প্রশাসনের কাছে চাওয়া হয়েছে। তা পেলে ঠিক কতদিনে রাস্তা ঠিক হবে তা জানানো যাবে।”
কার্শিয়াংয়ের জিরো পয়েন্টের কাছে ধসেছে রাস্তার একটি অংশ। ছবি: কার্তিক দাস।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা জিটিএ-র এগজিকিউটিভ বিনয় তামাং বলেন, “রোহিণীর রাস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খবর পাওয়ার কিছু পরেই প্রশাসনের তরফে সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত কাজ শেষ হবে।” প্রশাসন সূত্রের খবর, বহুদিন ধরেই রোহিণী হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়। ওই রাস্তারক জন্য ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। বেশ কিছু অংশের রাস্তা ইতিমধ্যেই সংস্কার করা হয়েছে। দার্জিলিং যাতায়াতের ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক ধসে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে থাকায় রোহিণীর রাস্তাটিই সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটক সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মিরিক হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা থাকলেও সেটির দূরত্ব বেশি। পাঙ্খাবাড়ির রাস্তা দিয়ে বড় গাড়ি চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ বলে প্রশাসনের এক কর্তা জানান।
রাস্তার একটি অংশ ধসে যাওয়ায় এক মাস রোহিণী দিয়ে দার্জিলিং যাতায়াত বন্ধ থাকতে পারে
বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। মঙ্গলবার সকাল থেকেই জেলা প্রশাসনের একটি দল মেরামতি শুরু করেছে।
ছোট গাড়িগুলি পাঙ্খাবাড়ি হয়ে ও বড় গাড়িগুলি মিরিক দিয়ে যাতায়াত করছে। ছবি: রবিন রাই।
এখন ওই দুটি রাস্তা দিয়েই দার্জিলিঙে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কয়েকদিন ধরেই লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছিল পাহাড়ে। ফলে বহু জায়গায় ধস পড়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এমনকী চলাচলের ছোট রাস্তাগুলি বেশ কয়েকটি ধস পড়ে বন্ধ হয়ে রয়েছে। এর ফলে মেন সড়ক হয়ে রোহিণী বা আশেপাশের গ্রামের মানুষ কার্শিয়াংয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু রাস্তার অনেকটা অংশ ধসে যাওয়ায় বাসিন্দাদের কার্শিয়াংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ একরকম প্রায় বন্ধ। বাসিন্দা দীনেশ রাই বলেন, “আমরা কার্শিয়াংয়ের উপর নির্ভরশীল। গাড়ি নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হলে সমস্যায় পড়ব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.