লন্ডন থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে দিল্লি এসে পৌছলেন অলিম্পিক ব্রোঞ্জজয়ী সাইনা নেহওয়াল। ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্যই যে উন্মাদনা এক রকম বরাদ্দ, সে রকমই উৎসাহ দেখা গেল সাইনাকে ঘিরে। বিমানবন্দরে একজন ব্যাডমিন্টন তারকাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে হাজার পাঁচেক মানুষ। ফুলের মালায় সাইনাকে ঢেকে ফেলা ও মিষ্টি মুখ করানোর পাশাপাশি উৎসাহী জনতা সাইনাকে কাঁধে পর্যন্ত তুলে নেয়।
বিমানবন্দরেই ভারতীয় ব্যাডমিন্টন সংস্থা, বাই-এর তরফ থেকে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয় সাইনাকে। প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে তখন ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের ইতিহাসে প্রথম অলিম্পিক পদকজয়ীকে একবার ছোঁয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গেছে। সাইনার কাছাকাছি পৌঁছতে না পেরে এক দর্শক সঙ্গে আনা ফুলের স্তবকটা ছুড়েই মারলেন সাইনার দিকে। সেই ছোড়ার মধ্যেও ২২ বছরের হায়দরাবাদি মেয়ের প্রতি সম্ভ্রম, শ্রদ্ধা।
আর সাইনা? বাবা হরবীর সিংহকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেই ফেললেন। একটা কথাই শোনা গেল সাইনার মুখে। “বাবা আমি আমার কথা রাখতে পেরেছি।” তার পরেই বিশাল ভিড়ের দিকে হাত নাড়তে-নাড়তে সাইনা ঢুকে গেলেন ফেডারেশন কর্তার গাড়িতে। গন্তব্যস্থল ‘ডোমেস্টিক’ বিমানবন্দর, পালাম। |
এ দিকে, অলিম্পিকে রুপোজয়ী ভারতীয় শ্যুটার বিজয় কুমারের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। বুধবারই দেশে ফিরছেন বিজয়। লন্ডনে বিজয় কুমার তোপ দেগেছেন শুধু তাঁর কর্মস্থল সেনাবাহিনীকেই নয়, নিজের রাজ্য হিমাচলপ্রদেশ সরকারকেও। অফিসে তাঁর যথাযথ পদোন্নতি হয়নি বলার পাশাপাশি বিজয় কুমার বলেছেন “অলিম্পিকে আসার আগে আমি আমার রাজ্য হিমাচল সরকারের থেকেও কোনও রকম সাহায্য পাইনি। অন্য রাজ্য থেকে ভাল সাহায্য পেলে আমি নিজের রাজ্যও ছেড়ে দিতে পারি।”কিন্তু ঘটনা হল, রুপো জেতার পরেই বিজয়কুমারের পদোন্নতির কথা বলেছিল সেনাবাহিনী। তাঁর রাজ্যও ১ কোটি টাকা নগদ দেবে বলেছিল। হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী ধুমল নিজে কাল পালাম বিমানবন্দরে গিয়ে বিজয় কুমারকে বিশেষ হেলিকপ্টারে হিমাচলে নিয়ে যাবার সব রকম ব্যবস্থা করে রেখেছেন। তার পরেও বিজয় কুমার এত কড়া কথা বললেন কেন সেটা বোঝা যাচ্ছে না। |