চাপড়ায় আবারও প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। নিজেকে চাপড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পরিচয় দিয়ে একটি সাধারণ সভা ডেকেছেন হরিদাস প্রামাণিক। রবিবার ওই সভা হবে বলে জানিয়ে। ব্লকের নেতা কর্মীদের তিনি আমন্ত্রণ পত্রও পাঠিয়েছেন। কিন্তু দলেরই অন্য গোষ্ঠীর মত হল, হরিদাসবাবু ব্লক সভাপতি নন। তাই তাঁর পক্ষে এই রকম চিঠি দেওয়া উচিত নয়। স্থানীয় বিধায়ক রুকবানুর রহমান বলেন, “ব্লক সভাপতির পদ থেকে অনেক দিন আগেই হরিদাসবাবুকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারপরেও তিনি কী করে নিজেকে ব্লক সভাপতি পরিচয় দিয়ে ওই সভা ডেকেছেন, তা বুছতে পারছি না। আমি বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” হরিদাসবাবুর অবশ্য বক্তব্য, “আমাকে কোনওদিনই চিঠি দিয়ে জানানো হয়নি যে, ব্লক সভাপতির পদ থেকে অপসরণ করা হল। তাই আমিই এখনও দলের এই ব্লকের সভাপতি।” পঞ্চায়েত ভোট দোরগোড়ায়। এর মধ্যে চাপড়ায় ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশে চলে আসায় দলের নেতারা বিব্রত। এই এলাকায় দলের ঐক্য রক্ষা করতে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা সভাপতি হওয়ার পরে ওই কমিটি গঠন করেন পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা। স্থানীয় বিধায়ক রুকবানুর রহমানকে চেয়ারম্যান করে ছ’জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে রয়েছেন সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আব্দুল রশিদ মল্লিক ও জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক পরিমল বিশ্বাসও। পুণ্ডরীকাক্ষবাবু বলেন, “হরিদাসবাবু আগে ব্লক তৃণমূল সভাপতি ছিলেন। এখন কেউই সভাপতি নেই। কেন তিনি এমন চিঠি লিখলেন, তা জানতে চাইব।” |