|
|
|
|
ডেবরা কলেজে স্ট্যাম্প জাল, তদন্তে পুলিশই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অধ্যক্ষের স্ট্যাম্প-সহ রসিদ জাল করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ডেবরা কলেজের দুই টিএমসিপি সমর্থক ছাত্রের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার কলেজের পরিচালন সমিতির জরুরি বৈঠকে বিষয়টি আলোচিত হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানানো হবে। ওই জাল রসিদ জমা দেওয়া হবে। অধ্যক্ষ গোপালচন্দ্র বেরা বলেন, “কী ভাবে রসিদ জাল হল, তা আমাদের পক্ষে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। এই সংক্রান্ত কাগজপত্র আমরা পুলিশে জমা দেব। পুলিশই ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত করবে।” এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্র সংসদের প্রতিনিধি প্রশান্ত নায়েককে ‘শো-কজ’ করার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
অনার্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক ছাত্রের থেকে ১৪ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রশান্তের বিরুদ্ধে। একই আশ্বাস দিয়ে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর থেকে দেড় হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপি কর্মী সূর্যকান্ত হোড়ের বিরুদ্ধে। প্রশান্ত ওই ছাত্রকে অধ্যক্ষের স্ট্যাম্প-সহ কলেজে ভর্তির রসিদও দিয়েছেন। এই স্ট্যাম্প জাল করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে এসএফআই, ছাত্র পরিষদ, ডিএসও’র মতো ছাত্র সংগঠন। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে ছাত্র পরিষদের এক প্রতিনিধি দল। সংগঠনের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “আরও এক ছাত্রের অভিযোগও আমরা অধ্যক্ষকে জানিয়েছি। তাঁকেও জাল রসিদ দিয়েছিলেন ছাত্র সংসদের ওই প্রতিনিধি।” ডেবরা কলেজের ছাত্র সংসদ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত (টিএমসিপি)। অভিযুক্তদের আড়াল করা হবে না বলে জানিয়েছে টিএমসিপি। সংগঠনের জেলা চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, “দলীয় স্তরে তদন্ত শুরু হয়েছে। ব্লক কমিটির কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছি।” পুলিশ জানিয়েছে, কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ পেলে তারা নিয়মমাফিক তদন্ত করবে। |
|
|
|
|
|