বাবা মারা গিয়েছে আগেই। এ বার আট মাসের শিশুকন্যাকে রেখে মারা গেল মা-ও। শিশুটিকে যারা দেখভাল করবেন, তাঁদের চিন্তা একটাই। মা-হারা ছানাকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে কী করে?
আলিপুর চিড়িয়াখানায় সাড়ে চার বছরের লাল ক্যাঙারু মা সোমবার দুপুরে মারা যাওয়ার পর থেকে তার আট মাসের মেয়ে মনমরা। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, শিশুটি নিজে খেতে শিখেছে, খাচ্ছেও। তবে তার ছটফটে ভাবটা নেই। একাকিত্ব তার জীবনযাপনে কোনও প্রভাব ফেলবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কর্তৃপক্ষ। |
অনাথ: মন ভাল নেই। আলিপুর চিড়িয়াখানায় সেই ক্যাঙারু শাবক। মঙ্গলবার। ছবি: সুদীপ আচার্য। |
আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর নীরজ সিঙ্ঘল জানান, গত বছর জুন মাসে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে তিনটি লাল ক্যাঙারু আনা হয়েছিল। একটি ছেলে এবং দু’টি মেয়ে। তাদের বড় একটি খাঁচাতেই রাখা হয়েছিল। নিয়ম করে তাদের পর্যবেক্ষণও করা হত। তবু একটি মেয়ে ক্যাঙারুকে বাঁচানো যায়নি। গত ডিসেম্বরে অন্য মেয়ে ক্যাঙারুটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। মাস তিনেক আগে বাবা ক্যাঙারুটি মারা যায়। গত রবিবার সকাল থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল মা ক্যাঙারুটিও। তার মুখ থেকে লালা ঝরছিল। খাওয়া এবং ঘোরাফেরাও বন্ধ করে দিয়েছিল। চিড়িয়াখানার পশু চিকিৎসকেরা তার চিকিৎসা শুরু করেন। স্যালাইনও দেওয়া হয়। তবু বাঁচানো যায়নি।
চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর মঙ্গলবার বলেন, “ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ফুসফুসে আঘাত, তা থেকে রক্তক্ষরণ এবং তার জেরে হৃদ্যন্ত্র বিকল হওয়ায় মা ক্যাঙারুটি মারা গিয়েছে।” ফুসফুসে আঘাতের কারণ জানার চেষ্টা করছেন কর্তৃপক্ষ। |