স্পেকট্রাম নিলামে অংশ নেওয়ার আগে ঘর গুছিয়ে নিতে চায় টেলিনর। সেই লক্ষ্যে ইউনিনরের সঙ্গে অংশীদারি সমস্যা মেটাতে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আলোচনার দরজা খোলা রাখছে তারা। অন্য দিকে, কিছু সার্কেলে ব্যবসা সঙ্কোচনের জেরে কাজ হারানো কর্মীদের বিকল্প কাজের সুযোগ করে দিতেও উদ্যোগী হয়েছে সংস্থা। সে ক্ষেত্রে অবশ্য টেলিনর ও ইউনিটেকের যৌথ উদ্যোগ ইউনিনর কর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
নরওয়ের টেলিকম সংস্থা টেলিনর আগেই জানিয়েছিল, ভারতে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসার লক্ষ্যেই লগ্নি করেছে তারা। সেই পরিকল্পনা এখনও অটুট। তবে ইউনিটেক নয়, নতুন অংশীদারের সঙ্গে এ দেশে ব্যবসা করতে চায় তারা। তার আগে অবশ্য ইউনিনরের পুরো সম্পত্তি নিলামে তোলার কথা। যা নিয়ে টেলিনরের সঙ্গে ইউনিটেকের সংঘাত এখন চরমে। ইউনিটেকের অভিযোগ, টেলিনর যথেষ্ট ‘পরিকল্পিত’ ভাবে তাদের এই ব্যবসা থেকে সরিয়ে দিতেই এই পথ বেছেছে। বিতর্ক গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
মঙ্গলবার ইউনিনরের প্রচার কমর্সূচির জন্য কলকাতায় এসেছিলেন সংস্থার এমডি তথা এশিয়ায় টেলিনরের অন্যতম কর্তা সিগভে ব্রেক্কে। এই বিতর্ক নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে না চাইলেও আদালতের বাইরে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি। ব্রেক্কে বলেন, “প্রথমত, আইনি লড়াই চলছে। দ্বিতীয়ত, পরিচালন পর্ষদেও কথা চলছে। এবং তা সদর্থক।”
ভারতে তাদের ১৩টি সার্কেলের ৪টি (কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, ওড়িশা) থেকে সরছে ইউনিনর। কর্তারা জানান, সে ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মিলিয়ে প্রায় ১৯০০-২০০০ জন কাজ হারাতে পারেন। কর্মীদের প্রতি ‘দায়বদ্ধতা’ থেকেই তাঁদের দুটি বিকল্পের সন্ধান দিচ্ছে সংস্থা। তাঁদের অন্য সার্কেলের খালি পদে সুযোগ দেওয়া হবে নতুবা অন্য টেলিকম সংস্থায় কাজের চেষ্টা করলে সাহায্য করবে ইউনিনর। |