কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কথা শুনে শেয়ার বাজার ক্রমশ চাঙ্গা হয়ে উঠছে। সোমবার ২১৫ পয়েন্ট বাড়ার পর মঙ্গলবারও উঠেছে সূচক। এই দিন সেনসেক্স বেড়ে গিয়েছে ১৮৮.৮২ অঙ্ক। বাজার বন্ধের সময় তা ঠিল ১৭,৬০১.৭৮ অঙ্কে। মূল্যবৃদ্ধির হারে লাগাম পড়ানোর উদ্দেশ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে এক যোগে কেন্দ্রীয় সরকার কৌশল রচনা করবে বলে সস্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম যে মন্তব্য করেছেন, তাতে লগ্নিকারীরা উৎসাহ পেয়েছেন বলে বাজার সূত্রের খবর। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আর্থিক ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্র পরিকল্পনা তৈরি করবে। পাশাপাশি বিদেশি কিছু সংস্থার কর সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানেরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই বক্তব্যের মাধ্যমে ভোডাফেনের কর সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানেরই ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রী দিয়েছেন বলে মনে করছে শেয়ার বাজার। চিদম্বরমের মন্তব্য শুনে লগ্নিকারীরা মনে করছেন, দেশের আর্থিক উন্নয়নে গতি এনে ঘাটতি মেটাতে এ বার সুদের হার কমানোর ব্যবস্থা করা হতে পারে। এর জেরেই যে সব সংস্থার ব্যবসা ব্যাঙ্কে সুদের হারের সঙ্গে যুক্ত, এই দিন তাদের শেয়ার দর উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে, টাটা মোটরস, স্টেট ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ইত্যাদি। এ ছাড়া এপ্রিল থেকে জুন মাস, এই ত্রৈমাসিকে কগনিজ্যান্ট ভাল আর্থিক ফল করায় বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার শেয়ার দরের চাহিদা এই দিন বেড়ে যায়। ফলে বাড়ে তাদের দামও।
|
রিলায়্যান্সের জমিতে হোটেল তৈরি করতে পারে ইআইএইচ |
নভি মুম্বইয়ে মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর জমিতে হোটেল তৈরির দায়িত্ব নিতে পারে ইস্ট ইন্ডিয়া হোটেল্স গোষ্ঠী (ইআইএইচ)। নভি মুম্বইয়ে রিলায়্যান্সের ১৫ একর জমি রয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতায় তাদের বার্ষিক সাধারণ সভার শেষে ইআইএইচ-এর চেয়ারম্যান পিআরএস ওবেরয় জানান, সে ক্ষেত্রে ট্রাইডেন্ট ব্র্যান্ড নামে সেখানে ১৬০টি ঘর বিশিষ্ট একটি হোটেল গড়বেন তাঁরা। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রেও এ ধরনের যৌথ উদ্যোগ গড়ে তোলা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এ দিনের সভাতেই রিলায়্যান্স কর্ণধার মুকেশ অম্বানীর স্ত্রী নীতা অম্বানীকে ইআইএইচ-এর পরিচালন পর্ষদে ডিরেক্টর পদে নিয়োগে সায় দিয়েছেন সংস্থার শেয়ারহোল্ডাররা। গত নভেম্বরেই নীতা এবং মনোজ মোদীকে পর্ষদে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইআইএইচ। গোষ্ঠীতে রিলায়্যান্সের ১৮.৫৩% অংশীদারি রয়েছে। তবে অম্বানীর মতো আইটিসির কোনও কর্তাকেও তাঁদের পর্ষদে আনা হবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য ‘না’-ই জানিয়েছেন ওবেরয়। ইআইএইচ-এ আইটিসি-র অংশীদারি ১৪.৯৮%। এ দিকে, পুণে এবং হায়দরাবাদে নতুন ট্রাইডেন্ট এবং ওবেরয় ব্র্যান্ডের হোটেল খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থা। পাশাপাশি, অহমেদাবাদেও জমি দেখার কাজ চালাচ্ছে তারা। বেঙ্গালুরু এবং গোয়ায় তাদের প্রস্তাবিত হোটেল এখন পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্রের অপেক্ষায়। এ ছাড়া, ভারতের বাইরে চিনের সাংহাই, মরক্কো, দুবাই, শ্রীলঙ্কা-সহ বিভিন্ন দেশে ব্যবসা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থা। তবে সে ক্ষেত্রে তারা শুধুমাত্র হোটেল পরিচালনার কাজ করতে পারে বলে খবর।
|
রিলায়্যান্সকে কেজি বেসিনে লগ্নির অনুমতি |
রিলায়্যান্স-বিপির যৌথ উদ্যোগকে শর্তসাপেক্ষে কৃষ্ণা গোদাবরী অববাহিকায় (কেজি ডি৬) আরও ১০০ কোটি ডলার (৫৫০০ কোটি টাকা) লগ্নি করার অনুমতি দিল কেন্দ্র। শর্ত হল, ওই অঞ্চলে গ্যাসের অস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য তিনটি তৈলকূপ খনন করতে সংস্থাকে নিজেদেরই অর্থ লগ্নি করতে হবে। আজ তেল মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত বিশেষ কমিটির বৈঠকে বিষয়টিতে সায় মিলেছে। যত দিন না গ্যাসের অস্তিত্ব প্রমাণিত হচ্ছে, তত দিন সরকারি ভাবে কোনও খরচ ভাগ করা হবে না। আগামী দিনেও সংস্থাকে উপযুক্ত প্রমাণ ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হাইড্রোকার্বন্সের কাছে পাঠাতে হবে। তা গৃহীত হওয়ার পরই কেন্দ্রের কাছে খরচ মেটানোর প্রস্তাব দিতে পারবে সংস্থা। উল্লেখ্য, ২০১০ সালেই কেজি ডি৬ বেসিনে ডি-২৯, ৩০ এবং ৩১ ব্লকে গ্যাসের অস্তিত্ব জানিয়ে আরও তৈলকূপ খননের অনুমতি চেয়েছিল রিলায়্যান্স। কিন্তু তখন সেই প্রমাণ যথাযথ নয় বলে কূপ খননের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
|
৩১ অগস্টের বদলে নভেম্বরে টুজি স্পেকট্রাম নিলামের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি চাইবে কেন্দ্র। সে ক্ষেত্রে ১২ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হতে পারে। টেলিকম মন্ত্রী কপিল সিব্বল জানান, ৩১ অগস্টের মধ্যে নিলাম সম্ভব নয়।
এ দিকে, সরকার এবং বিরোধী পক্ষের মতপার্থক্যে টুজি কেলেঙ্কারির নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক পিছোল। মনমোহন সিংহ ও চিদম্বরমকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হবে কি না, বিরোধ মেটেনি তা নিয়েই। |