নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ
লীয় কাউন্সিলরের ছেলের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে থানার আইসির দফতরে ক্ষোভ জানা লেন রায়গঞ্জ পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলারদের একাংশ। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। প্রায় আধঘন্টা ধরে ক্ষোভের কথা জানান কাউন্সিলাররা। পরে আইসির আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার বাবুলাল চৌহান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রতন মজুমদার অনুগামীদের নিয়ে এ দিন থানায় যান। সঙ্গে ছিলেন মৃত পড়ুয়ার বাবা তথা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায়। আইসির ঘরে ঢুকে তাঁরা জানতে চান কেন পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারছে না। কাউন্সিলার বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রিয়তোষবাবুর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। অথচ ঘটনার তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার বিষয়ে পুলিশ নিষ্ক্রিয়। স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা না হলে দলের তরফে পুলিশের বিরুদ্ধে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনে নামা হবে।” রায়গঞ্জ থানার আইসি সমীরকুমার পাল অবশ্য নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “ওই অভিযোগ ঠিক নয়। মৃতের কললিস্ট খতিয়ে দেখে সিআইডির সাহায্য নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি খুনের ঘটনা মনে হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়। প্রিয়তোষবাবু সুনির্দিষ্টভাবে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কোনও ব্যক্তির নাম জানাতে পারেননি। তাই তদন্তের কাজে সমস্যা হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ জুলাই রাত ৮টা নাগাদ রায়গঞ্জের কুলিক নদী থেকে প্রিয়তোষবাবুর ছেলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ১৮ বছর বয়সী বিশ্বজিতের দেহ উদ্ধার হয়। ২৬ জুলাই দুপুর থেকে ওই পড়ুয়া নিখোঁজ ছিল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তে গলায় একটি অস্বাভাবিক চিহ্ন মিলেছে। পেটে জল পাওয়া যায়নি। পুলিশ বিশ্বজিতের মৃত্যুর কারণ জানতে রক্তরস ভিসেরা পরীক্ষার জন্য কলকাতার একটি ল্যাবরেটরিতে পাঠায়। গত ৩০ জুলাই প্রিয়তোষবাবু রায়গঞ্জ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। প্রিয়তোষবাবু বলেন, “ময়নাতদন্তে ছেলের গলায় অস্বাভাবিক চিহ্ন মিলেছে। জলে ডুবে মারা গেলে পেটে জল থাকত। সেটা পাওয়া যায়নি। ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় শ্বাসরোধ করে খুন করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ছেলের সাইকেল ও মোবাইল ফোন এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার এতদিন পরেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
গ্রেফতার। গত শনিবার রাতে মেটেলি চা বাগানের কর্মী ফাটু মারাণ্ডি (৪২) খুন হন। সেই খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে সোমবার গ্রেফতার করল মেটেলি থানার পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম সীতারাম কেরকেট্টা। মেটেলি চা বাগানের শ্রমিক সীতারামের বাড়ি শান্তিনগর লাইনে। ফাটুর প্রতিবেশী ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তার সাথে ফাটুর গোলমাল ছিল। সেই কারণেই ফাটুকে সীতারাম খুন করেছেন বলে পুলিশের সন্দেহ। সোমবার বাগান থেকেই গ্রেফতার করে সীতারামকে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.