|
|
|
|
আন্দোলন ঘিরে উত্তেজনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
মাছ কেনার উপর ছাড় দেওয়ার দাবিতে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের (আইএনটিটিইউসি) আন্দোলনকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি এলাকায়। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। আইএনটিটিইউসি এদিন মাছ কেনা বয়কটের ডাক দেয়। খুচরো ব্যবসায়ীদের অনেককে মাছ কিনতে ওই সংগঠনের সদস্যরা বাধা দিচ্ছে এই অভিযোগ তুলে মাছের পাইকারি ব্যবসায়ীরা মিছিল বের করলে উত্তেজনা ছড়ায়। সেই সময় পাশেই শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানানোর জন্য সার্কিট হাউসের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। তাঁরা ৩১ (এ) জাতীয় সড়ক বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ করে রাখেন। শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব সেখানে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন। আজ, বিষয়টি নিয়ে মহকুমাশাসকের দফতরে বৈঠক ডাকা হয়েছে। নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি সূত্রের খবর, সম্প্রতি পাইকারদের সঙ্গে আইএনটিটিইউসি’র অধীন খুচরো মাছ ব্যবসায়ীদের সংগঠনের নেতৃত্বের বৈঠক হয়। আইএনটিটিইউসি’র দার্জিলিং জেলা সভাপতি অরূপরতন ঘোষের অভিযোগ, বাইরের থেকে মাছ কেনার উপরে ছাড় পায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা। সেই হিসেবেই কেজি প্রতি মাছের উপর ২ টাকা ছাড়ের দাবি করেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। তাঁর দাবি, ১ টাকা ছাড় দেওয়া হবে বলে বৈঠকে ঠিক হয়। ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত খুচরো ব্যবসায়ীদের কোনও ছাড় দেওয়া হচ্ছিল না। তিনি বলেন, “তা নিয়েই আমরা একদিনের জন্য মাছ না কেনার ডাক দিই। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। কাউকে মাছ কিনতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল না। ওই ব্যবসায়ীরা আমাদের দলীয় অফিসে হামলা করার চেষ্টা করে। অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে।” যদিও শিলিগুড়ি হোলসেল ফিস মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, আইএনটিটিইউসি তাদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে হঠাৎ মাছ কেনা বয়কটের ডাক দেয়। এমনকী যে সব খুচরো ব্যবসায়ীরা মাছ কিনছিলেন তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কয়েকজনের মাছ ফেলে দেওয়া হয় বলেও দাবি করেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ফলে বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। সংগঠনের সম্পাদক বাপি চৌধুরী দাবি করেন, এ দিন ব্যবসা না হওয়ায় ২০ লক্ষ টাকার উপরে লোকসান হয় তাদের। তিনি বলেন, “আমরা তাদের দাবি মেনে কেজি প্রতি ৫০ পয়সা ছাড় দিচ্ছিলাম। তার পরেও কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে আন্দোলনের ডাক দেন তারা। আমাদের উপরে হামলার চেষ্টা হয়। বাধ্য হয়ে আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে পুরো বিষয় জানাতে চেয়েছিলাম। পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। মহকুমাশাসক সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন।” |
|
|
|
|
|