|
|
|
|
রেলমন্ত্রীকে স্মারকলিপি ব্যবসায়ীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
নিউ জলপাইগুড়ি এবং রাঙাপানিতে পণ্য নামানোর ব্যবস্থা উন্নত করার দাবি জানিয়ে রেলমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার শিলিগুড়ির ইস্টার্ন এবিসি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষ থেকে রেলমন্ত্রী মুকুল রায়কে স্মারকলিপি দিয়ে ওই দুটি স্টেশনে পণ্য নামানোর ব্যবস্থা উন্নত করার দাবি জানানো হয়। একই দিনে সমিতির পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও স্মারকলিপি দিয়ে কেন্দ্রীয় ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড কর্তৃপক্ষের ফুড সেফটি আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি চলছে বলে অভিযোগ করা হয়। সমিতির অভিযোগ, ওই ঘটনায় ছোট হোটেল এবং খাবারের দোকানের মালিক বিপাকে পড়েছেন। আইন নিয়ে এমন কড়াকড়ি চললে বহু ছোট দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। বিপাকে পড়বেন ছোট ব্যবসায়ীরা। এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন সমিতির সদস্যরা। সমিতির সম্পাদক গৌরীশঙ্কর গোয়েল বলেন, “পণ্য নামানোর সমস্যা কিংবা ফুড সেফটি আইনে বাড়াবাড়ি দীর্ঘদিনের। মুখ্যমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করলে সমস্যা মিটবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সেজন্যই তাঁদের সমস্ত ঘটনা জানিয়ে হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। দু’জনেই সমস্যা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।” শিলিগুড়িতে প্রতিদিন যত পণ্য নামে তার সবই নিউ জলপাইগুড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনে মালগাড়ি থেকে নামানো হয়। তার পরে সেগুলি শহরে আনা হয়। সমিতির অভিযোগ, রাঙাপানিতে মাল নামানোর জন্য কোনও প্ল্যাটফর্মই নেই। কোনও শেড নেই। নেই কোনও গুদাম। এমনকী, মালগাড়ি থেকে পণ্য নামিয়ে পাকা রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তাও নেই। একটি বিদ্যুতের খুঁটি থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে রাতে সেখানে আলো জ্বলে না। অথচ ওই স্টেশনে প্রতিদিন ১৫-২০টি করে রেক দাঁড়ায়। এমন বেহাল পরিস্থিতির মধ্যে কর্মীদের মালগাড়ি থেকে পণ্য নামিয়ে তা ট্রাকে বোঝাই করে শহরে পাঠাতে হয়। সমিতির ক্ষোভ, পণ্য পরিবহণের জন্য রেলের আয় হলেও পণ্য নামানোর পরিকাঠামো তৈরির ব্যাপারে আধিকারিকেরা উদাসীন। বহু বার বলার পরেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। একই অভিযোগ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনকে ঘিরেও। সেখানে দিনে একটির বেশি রেল থেকে পণ্য নামানোর মতো পরিকাঠামোই নেই। অথচ দিনে ৪-৫টি রেক দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে পণ্য নামিয়ে তা শহরে পাঠাতে গিয়ে তাঁদের নাজেহাল হতে হয়। প্রচুর পণ্য নষ্টও হয়। অথচ পরিকাঠামোর উন্নতি হলে এই সমস্যা মেটানো যায়। |
|
|
|
|
|