সোমবার কুমলাই চা বাগান পরিদর্শন করলেন সমাজকর্মী অনুরাধা তলওয়ার। সোমবার থেকেই ফের কুমলাই চা বাগানে স্বাভাবিক কাজ শুরু হয়েছে। গত ৪৪ দিন অচলাবস্থার জেরে বাগানে কোনও কাজ হয়নি। গত সপ্তাহে ৩ জনের মৃত্যু হয় বাগানে। এদের মধ্যে একজন শিশু সহ দু’জন মহিলা। এর পরে কুমলাই পরিদর্শনে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন সুপ্রিম কোর্টের খাদ্যের অধিকার কমিশনের উপদেষ্টার পদে থাকা অনুরাধা তলওয়ার। তাঁর সঙ্গে এ দিন কুমলাইতে ছিলেন নিউ ট্রেড ইউনিয়ন ইনিসিয়েটিভ এর রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন গঙ্গোপাধ্যায় ও সোমনাথ ঘোষ। এ দিন তিনি মৃত চা শ্রমিক সুমিতা ভোক্তা মাঝি (২৫) ও রীতা টোপ্পো (৪৫)-এর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। সুমিতা ভোক্তা মাঝির ২ ছেলে ও ১ মেয়ে। দু’মাস আগেই সুমিতার ছেলের জন্ম হয়। তার পর থেকেই বাগানে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুবেলা খাওয়া জুটত না। সে কারণেই সুমিতা মারা গিয়েছেন বলে তাঁর স্বামী শ্যাম মাঝি এ দিন অনুরাধা দেবীকে জানান। একই অভিযোগ রীতা টোপ্পো র দিদি বুলু ওরাওঁ এরও। |
কুমলাই চা বাগানের হাসপাতালও পরিদর্শন করেন তিনি। এর পর চা শ্রমিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন অনুরাধাদেবী। খাদ্যের অধিকার সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। মূলত অভাবের তাড়নায় সুমিতা ভোক্তা মাঝির মৃত্যু বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “চলতি বছরেই খাদ্যের অধিকার রাখায় গঠিত সুপ্রিম কোর্টের কমিশনাররা চা বাগান নিয়ে কাজ শুরু করবেন। সেখানে কুমলাই বাগানের দুর্দশার কথাও তুলে ধরা হবে।” পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও শ্রমিক মৃত্যুর বিষয়টি জানাবেন বলেও জানানো হবে। তিনি বলেন, “কুমলাই চা বাগান স্বাভাবিক হচ্ছে, সেটা আনন্দের কথা। কিন্তু প্রতিবারই কেন শ্রমিকদের মৃত্যুর পরই প্রশাসন সক্রিয় হয় এর জবাব মেলে না।” মঙ্গলবার ফের তিনি কুমলাই চা বাগানে এসে বাগান কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন বলে জানান তিনি। এর পরে মঙ্গলবার তিনি যাবেন নাগরাকাটার রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হিলা চা বাগান পরিদর্শনে। |