অভিযোগ জানাতে গিয়ে কেউ যাতে থানা থেকে না ফিরে যান সে ব্যাপারে আইসি, ওসি’দের সতর্ক করলেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার আনন্দ কুমার। সোমবার মাল্লাগুড়িতে নিজের অফিসে ওই কথা জানান তিনি। রবিবার কমিশনারেটের উদ্বোধনের পরই তিনি পুলিশ অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “অভিযোগ করতে গিয়ে কেউ যাতে থানা থেকে ফিরে না যান সে ব্যাপারে সমস্ত থানার অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ নেওয়া আমাদের কর্তব্য। তার পরে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা হবে।” কমিশনার জানান, এর মধ্যেই ৯০০ জন কর্মী কমিশনারেট-এ কাজ শুরু করেছেন। এর মধ্যে একজন ডেপুটি কমিশনার, একজন অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার এবং পাঁচ জন অ্যাসিট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (এসিপি) রয়েছেন। খুব শীঘ্রই আরও একজন ডেপুটি কমিশনার, একজন অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার এবং ৬ জন এসিপি যোগ দেবেন। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষকে যতটা সম্ভব ভাল পরিষেবা দেব আমরা। অপরাধ রুখতে সবরকম ব্যবস্থা হবে।” |
কমিশনারটে’কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পূর্ব ভাগে (ডিসি ইস্ট) পড়েছে শিলিগুড়ি ও ভক্তিনগর থানা। প্রধাননগর, মাটিগাড়া, বাগডোগরা থাকছে পশ্চিম ভাগে (ডিসি ওয়েস্ট)। গুরুত্বপূর্ণ অপরাধের তদন্তের জন্য পৃথক একটি ‘ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ’ থাকবে কমিশনারেটে। খুব দ্রুত তা চালু করা হবে। কমিশনারেট অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম থাকবে। সেখানে ১০০ ডায়াল রাখা হবে। যে কোনও অপরাধের খবর দিতে ওই নম্বরে ফোন করা যাবে। এখন থেকে কমিশনারেট-এর ভেতরে কোনও সভা, মিছিল করতে হলে সেখান থেকে অনুমতি নিতে হবে। কমিশনারেট-এর আগে ওই অনুমতি মহকুমাশাসকের দফতর থেকে নিতে হত। কোথাও ১৪৪ ধারা প্রয়োগ করার প্রয়োজন হলেও তা কমিশনারেট করবে। পুজোর অনুমতিও কমিশনারেট থেকে নিতে হবে। কমিশনার জানান, খবর শীঘ্রই এক হাজার ‘গ্রিন পুলিশ’ নিয়োগ করা হবে। এ ছাড়াও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট-এর ওয়েবসাইট চালু করা হবে। আপাতত মাল্লাগুড়িতে অস্থায়ী ভাবে একটি দোতলা ভবনে কমিশনারেট অফিস চালু করা হয়েছে। কমিশনার বলেন, “কমিশনারেট-এর স্থায়ী ভবন করা হবে। কিন্তু কোথায় ওই ভবন হবে তা এখনও ঠিক হয়। শীঘ্রই তা জানা যাবে বলে আশা করছি।” |