আদালতের নির্দেশে জেলে বিয়ে হল ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত যুবক ও এক তরুণীর। সোমবার রঘুনাথপুর উপ-সংশোধনাগারে বিয়ে হয়েছে রঘুনাথপুর থানার শালগোড়া গ্রামের বাসিন্দা গণেশ সাধু ও একই গ্রামের বাসিন্দা তরুণী রীনা সাধুর। সংশোধনাগারের কন্ট্রোলার রানা বসু বলেন, “আদালতের নির্দেশে এ দিন জেলে বিয়ে হয়। আইন মতো বিয়ে করানোর পাশাপাশি সামাজিক রীতি মেনেও বিয়ে হয়েছে।” গত ১১ জুলাই দুপুরে শালগোড়া গ্রামে পুকুরের পাড়ে রীনাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল গণেশের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করেছিল রঘুনাথপুর থানার পুলিশ। গত ১৪ জুলাই থেকে সে রঘুনাথপুর উপ-সংশোধনাগারে রয়েছে। গণেশের গ্রেফতারের পরেই তার বাড়ির লোকজন রীনার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দু’জনের বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। গণেশের মা অলঙ্গাদেবী বলেন, “ছেলে রীনাকে ভালবাসত। কয়েকবার বিয়ের প্রস্তাব দিলেও রীনা বারবার প্রস্তাব নাকচ করে। রাগের মাথায় ছেলে তাকে মারধর করেছিল। আমরা প্রথম থেকেই বিয়ে দিতে রাজি ছিলাম। কিন্তু ওরা রাজি ছিল না। ছেলে জেলে যাওয়ার পরে অনুরোধ করেছিলাম বিয়ে দিতে। ওনারা রাজি হয়েছিলেন।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণী অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়াতে বিয়েতে সমস্যা হয়েছিল। সম্প্রতি রীনা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেই দুই পক্ষের আইনজীবী আদালতের কাছে বিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে আদালত জেলেই বিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। রীনার মা মমতাদেবী বলেন, “প্রথম দিকে আমাদের বিয়ে দেওয়া নিয়ে আপত্তি ছিল। পরে গ্রামের লোকেরা বুঝিয়েছেন। তা ছাড়া গ্রামের মধ্যে চেনাশোনার মধ্যেই বিয়েটা হয়েছে।” জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার আদালতে বিয়ের তথ্য প্রমান জমা করার পরেই জেল থেকে ছাড়ার নির্দেশ দেবে আদালত।
|
বাঁকুড়ার জয়পুরে তৃণমূলের ব্লক কার্যকরী সভাপতি দিলীপ খাঁ ও ব্লক সম্পাদক রবিউল মিদ্যার দুই ‘গোষ্ঠীর’ মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধল বৈতল গ্রামে। সোমবারের এই ঘটনায় দু-জন জখম হয়েছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
রবিবার দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় এক প্রৌঢ়কে মারধরের অভিযোগে তাঁরই পড়শি যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার পিড়রগাড়ি গ্রামের ঘটনা। মণ্টু ওরফে ঝণ্টু মাহাতো নামে পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই প্রৌঢ় গুরুতর জখম অবস্থায় বাঁকুড়া মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁকে মারধরের অভিযোগে ওই গ্রামেরই পাণ্ডব মাহাতো নামে এক যুবককে ধরা হয়েছে। সোমবার ধৃতকে খাতড়া আদালতে হাজির করা হয়। ধৃতের ১২ দিন জেল হাজত হয়। |