রেলের ঠিকাদারের কর্মী খুনের ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম বাবলু চৌবে। বাড়ি পাড়া থানার জোড়বেড়িয়া গ্রামে। রবিবার রাতে তাকে বাড়ি থেকে ধরার পরে সোমবার রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক ১৪দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। রঘুনাথপুরের এসডিপিও কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তদন্তে জানা গিয়েছে, নেশা করার টাকা জোগাড় করার উদ্যেশেই খুন করা হয়েছিল ভৈরব বাউরি নামের ওই ব্যক্তিকে।”
গত ৫ জুলাই রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে খুন হয়েছিলেন জোড়বেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ভৈরব বাউরি। তিনি আনাড়ার বাসিন্দা রেলের এক ঠিকাদারের কর্মী ছিলেন। পরের দিন সকালে গ্রামে যাওয়ার রাস্তার পাশে শ্মশানের অদূরে ভৈরববাবুর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেইসময়ে পুলিশ কুকুর এনে তদন্তের দাবিতে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনার প্রায় এক মাস পরে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই গ্রামেরই বাসিন্দাকে ধরেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধৃত বাবলু বাড়িতে না থেকে শ্মশানের মন্দিরে বেশি থাকতেন। ৫ জুলাই রাতে ভৈরববাবু যখন সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময়ে নেশার টাকা জোগাড়ের জন্যই রাস্তা আটকে তাকে মোটা লাঠি দিয়ে মারধর করে বাবলু। পরে তাঁর পকেট থেকে টাকা নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিল বাবলু।
পুলিশের দাবি, জেরায় বাবলু খুনের কথা স্বীকার করেছে। এসডিপিও কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “লাঠি দিয়ে পরপর করা আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয়েছিল ওই ব্যক্তির। পরে টাকা নিয়ে পালায় ধৃত। কিছুদিন অন্য এলাকায় হোটেলে কাজ করার পরে বাড়ি ফিরেছে খবর পাওয়ার পরেই তাকে ধরা হয়েছে। জেরায় সে খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে।” যদিও এলাকার বাসিন্দারা ভুল ব্যক্তিকে ধরেছে বলে দাবি করেছেন। তাই এ দিন আনাড়ায় পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেছিলেন জোড়বেড়িয়া গ্রামের কিছু বাসিন্দা। ছিলেন পাড়ার কংগ্রেস বিধায়ক উমাপদ বাউরি। তিনি বলেন, “আমি নিজে ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছি। আরও উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত প্রয়োজন রয়েছে।” তবে এসডিপিও বলেন, “ধৃত ব্যক্তি খুনের ঘটনার সঙ্গে পুরোপুরি জড়িত রয়েছেন—এই সংক্রান্ত প্রচুর তথ্য রয়েছে আমাদের হাতে। তারই কথা মতো জায়গা থেকে খুনের অস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়েছে।” |