মুর্শিদাবাদের আহিরণে প্রস্তাবিত আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু হল সোমবার। বছর দুয়েক আগে রাজ্য সরকার ২৮৮ একর জমি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা ‘আমু’র হাতে তুলে দেয়। কিন্তু ওই জমির লাগোয়া তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা দাবি তোলেন, তাঁদের পুনর্বাসন না দিলে আমুর ক্যাম্পাস তৈরি করতে দেওয়া হবে না। ফলে ওই তিনটি গ্রামের প্রায় আড়াই হাজার বাসিন্দার জন্য আরও পনেরো একর জমি ছাড় দিয়ে এ বার শুরু হল ওই ক্যাম্পাস গড়ার কাজ। ১৯৬৩-৬৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ফরাক্কা ব্যারেজ গড়তে প্রায় হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করে। বছর দুয়েক আগে, ২০১০ সালে ফরাক্কা ব্যারেজ প্রকল্পের ওই জমি থেকেই ২৮৮ একর জমি হস্তান্তরিত করা হয় আমু কতৃর্পক্ষকে। |
কিন্তু ওই জমির লাগোয়া তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্যারেজ গড়ার সময় থেকেই তাঁদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। সেই পুরনো দাবিতেই গত কয়েক বছর ধরে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেন। বাধ্য হয়ে ওই তিনটি গ্রামের প্রায় পনেরো একর এলাকা ছাড় দিয়েই শুরু হয় ক্যাম্পাস তৈরির কাজ। এ দিন স্থানীয় তিনটি গ্রামের শ’খানেক বাসিন্দা মিছিল বের করেন। তাঁদের দাবি, ওই জমির পুনর্বাসন ও জমির পাট্টা দাবি করেন অন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি এ দিন তাঁদের উদ্যোগই আমু গড়া হচ্ছে, এমনই দাবি তুলে পরস্পরকে কটাক্ষ করল কংগ্রেস এবং শরিক তৃণমূল। কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব বলেন, “কংগ্রেসের ধারাবাহিক আন্দোলনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নির্মাণ শুরু করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার।” যা শুনে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য শেখ ফুরকানের পাল্টা দাবি, “মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই ক্যাম্পাস নির্মাণ শুরু হয়েছে।” এ ব্যাপারে সিপিএমের এক জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যের মন্তব্য, “মনে রাখবেন, ২০১০-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস হয়। সে কাজ তো আমাদের আমলেই।” আমু ক্যাম্পাসের অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি শাহ আলম অবশ্য বলেন, “রাজনৈতিক বিতর্ক বুঝি না। তবে, নির্মাণ শুরু করতে পেরে আমরা খুশি।” |