কলকাতা লিগের বল এখনও গড়ায়নি। তার আগে প্রস্তুতি ম্যাচেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল ইস্টবেঙ্গল মাঠে। ধাক্কাধাক্কি, হুমকি কিছুই বাদ গেল না। ম্যাচে অবশ্য হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে তিন বিদেশি খেলা সত্ত্বেও ২-৩ গোলে মর্গ্যানের দল হেরে গেল কলকাতা পুলিশের কাছে।
সোমবার সকালে শিশির ঘোষের দল কলকাতা পুলিশের সঙ্গে অনুশীলন ম্যাচ ছিল ওপারা-পেনদের। প্রথমার্ধে ফল ১-১ দেখে দ্বিতীয়ার্ধে পুরো টিম নামিয়ে দেন মর্গ্যান। চিডি-ওপারা-পেন সবাইকেই। এরপরই চোরাগোপ্তা মারামারি শুরু হয় ভাসুম, বলজিৎ সিংহের সঙ্গে পুলিশ ফুটবলারদের। সেটা বড় আকার নেয় লাল-হলুদের বর্ষসেরা ফুটবলার পেন ওরজি পুলিশের হীরা ছেত্রীকে বিশ্রী ফাউল করায়। তার আগে পিছল মাঠে ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়েছিলেন পেন। তাতেই মাথা গরম হয়ে যায় তাঁর। হাতাহাতি, ঘুষোঘুষি শুরু হয় মাধব দাস, পেন, বলজিতদের মধ্যে। রেফারি খেলা বন্ধ করে দেন। মাঠে ঢুকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ কোচ শিশির। মিনিট পাঁচেক পর খেলা শুরু হয়।
পুরো ঘটনায় অবশ্য মর্গ্যান প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। বলে দিয়েছেন, “রেফারির আরও কড়া হওয়া উচিত ছিল। যেভাবে পুলিশের ফুটবলাররা পা চালাচ্ছিল তাতে বড় চোট লাগতেই পারত।” রেফারির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পাশাপাশি নিজের দলের ফুটবলারদের সমালোচনাও করেন লাল-হলুদ কোচ। বলে দিয়েছেন, “ওপারা এখনও ফিট হয়নি। ও মাঝমাঠে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ওর জন্য একটা গোল খেতে হয়েছে। বাকি দুটি গোলের জন্য দায়ী জয়ন্ত পাল আর সুনীল ঠাকুর।” পুলিশ কোচ শিশির অবশ্য ম্যাচ জিতে খুশি। বললেন, “আমাদের টিম খুব ভাল খেলেছে। জিতেছে। এটাই বড় কথা।” বৃহস্পতিবার সম্বলপুর অ্যাকাডেমির সঙ্গে খেলবেন পেনরা। এ দিকে ১৩ অগস্ট পল্টু দাসের জন্মদিনে দিব্যেন্দু বড়ুয়া, মৌমা দাস এবং ক্রিকেটার সন্দীপন দাসকে সংবর্ধনা জানাতে পারে ইস্টবেঙ্গল। |